কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে উদ্ধারকৃত মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলার মূল আসামী তুফান হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার সময় কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফ্রিং করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত ও ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল ইমলাম হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান হোসেন (২২) পিতা আব্দুল মালিথা, সাং-রামকৃষ্ণপুর, উপজেলা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পিক আপ ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যশোরের মিনারুল ইসলামকে কৌশলে ভেড়ামারায় এনে তার গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করেছে আসামীরা। হত্যা করার পর তার লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে রেখে আসে আসামীরা। এই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মিনারুল ইসলাম (৪৫) পিতাঃ আইয়ুব আলী, মাতাঃ হালিমা বেগম, গ্রামঃ নীলগঞ্জ তাতীপাড়া, যশোর কোতয়ালী থানা পেশায় একজন পিক আপ ভ্যান চালক। তার নিজ নামীয় পিক আপ রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১১৮৫। গত ১০/০৮/২০২২ তারিখ সকাল ১১.০০ টায় আসামী তুফান হোসেন ও সঙ্গীয় একজন আসামী ভেড়ামারা থেকে ট্রেনযোগে যশোর যায়। সেখানে পার্টস কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিকআপটি ভাড়া নেয় তারা। তারা বলে তাদের একটি ট্রাকের ইঞ্জিন আছে। গত ১০/০৮/২২ তারিখ সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
রাত ১২ টার আগেই জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলাহাবাসপুরে পৌছায়। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান থাকা অপর এক আসামীসহ তিনজন মিনারুল ইসলামের গলায় গামছা পেচিয়ে এবং মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পিকআপটিতে মিনারুল ইসলামের লাশ নিয়ে ১১/০৮/২২ তারিখ রাত ০১ টার সময় ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরস্থ মনি পার্কের পার্শ্বে শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে পানিতে লাশ ফেলে পিকআপটি নিয়ে চলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এই তথ্য স্বীকার করে। ধৃত তুফান হোসেনকে নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।