দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠেছে কুমিল্লা-৪ আসনের নির্বাচনী মাঠ। দিন-রাত এক করে যেমন প্রচার প্রচারণা চলছে, তেমনি চলছে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াই। প্রতিটি এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার-পোস্টারে। এই আসনে মোট বারোজন প্রার্থী হলেও মাঠে সরব দুইজন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। দ্বিতীয় বারের মতো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর বিপরীতে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সম্প্রতি এক উঠান বৈঠকে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ঈগল প্রতীককে শকুন উল্লেখ করে বলেছেন, যত সব শকুনের দলের মার্কাও শকুন। শকুন মার্কা কি ভালো? শকুনের দোয়ায় আমার মতো এতো বড় একটা গরু কি মরবে? শকুনের দোয়ায় আমার মত এত বড় গরু মরবে না।
জবাবে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও এক উঠান বৈঠকে গিয়ে বলেন, দুইবারের এমপি, আবারো প্রার্থী হয়েছেন নৌকা নিয়ে, অথচ কোনটা ঈগল আর কোনটা শকুন তাই চিনেন না। তিনি বলেছেন, কেউ শকুন মার্কায় ভোট দেবেন না। আমিও বলি শকুন বা নৌকা নয়, পরিবর্তনের প্রতীক ঈগলে ভোট দিন।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার। সে নৌকার জন্য ভোট চাইতে গিয়ে এক উঠান বৈইঠকে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালামকে ইঙ্গীত করে বলেছেন, তে বলে দেবিদ্বারে এমপি অইব। তে কার পুত কার নাতি? তারে নেতা বানাইলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান বানাইলাম। এখন তে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করে।
রোশন আলীর এই কথার জবাবে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ঈগল অনুসারী হাজী তুহিন বলেন, আরে ভাই আপনি যে বক্তব্য দেন রোশন আলী মাস্টার, আপনে কি নিজের পরিচয় টা নিজে জানেন? আপনে কার পুত কার নাতি? আপনেত ছোড বেলায় ছাগল চুরি কইরা পলাইছিলেন, ভুলে গেছেন?
এ দিকে প্রার্থী ও দায়িত্বশীল নেতাদের লাগামহীন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং চায়ের টেবিলে ঝড় তুলছেন তাদের অনুসারী সমর্থকেরাও। ঈগলকে শকুন বানিয়ে এবং নৌকাকে ডুবন্ত নৌকা বানিয়ে ট্রল করে চলছেন তারা। চায়ের টেবিলে আলোচনায় প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন রোশন আলী মাস্টার ও হাজি তুহিনের বক্তব্য।
এফআর/অননিউজ