ত্রিপুরা, আগরতলা, কুমিল্লা এই অঞ্চলের মানুষের মনের মিলকে ঐক্যবদ্ধ করতে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ বলয়ের মাধ্যমে কুমিল্লাকে ১ম সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করার জন্য উদ্যোগক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদ বাহার বলেন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। তিনি সার্বিক সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরার লোকজনের চেয়ে আমাদের স্মরনার্থী সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনীর ১৭ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছেন এমন উপমা খুবই কম, একটি দেশের স্বাধীনতার জন্য প¦ার্শবর্তী একটি দেশের সৈন্যরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই ত্রিপুরাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই । আমি যখন কলকাতা যাই তখন আমার পাশের লোকটি যখন কথা বলেন আমার বাবার বাড়ী কুমিল্লা, আমার চাচার বাড়ি কুমিল্লা, আমার দাদার বাড়ি কুমিল্লা, আমার মনে হয় তখন আমি কুমিল্লাতেই আছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আগরতলা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের আগামীর প্রজন্মরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস জানুক তাই আমরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনার নির্মানেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের নব নির্বাচিত সভাপতি সেবক ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহাতাব সুমন সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠান শুরুতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রতিনিধিদেরকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।