ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়েছে। ময়মনসিংহ রেঞ্চ ডিআইজি অফিসের উদ্যোগে সোমবার আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষী দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালী গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি উদ্বোধন করেন। এসময় সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন,অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজ আবিদা সুলতানা,অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি এনামুল হক, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ও পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালীটি রেঞ্চ ডিআইজি অফিস প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে স্থানীয় টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভায় অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নৈতিক চরিত্রের দৃঢ়তা আর সাহসী ভূমিকায় বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে মন্তব্য করে গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন শান্তি রক্ষা মিশনের সাহসী ভূমিকার কারনে আমাদের দেশ বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।
সিটি ইকরামুল হক টিটু বলেন, জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিনত করেছে এবং বিশ্বের বুকে একটি মর্যদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে শক্তি শালী দেশসমুহের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।
রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গীবাদ বিরোধী অভিযানের মতো সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে,তবে কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা এই মাদক বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে এই অভিযান বন্ধ করার পায়তারা করছে। পুলিশের কিছু ক্রুটি বিচ্যুতির কারনে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলছে সর্ষেতেই ভুত, তিনি বলেন, এই র্সষের ভুত দিয়েই জঙ্গী তৎপরতা নির্মূল করা হয়েছে এবং এই সর্ষের ভুত দিয়েই,দেশ থেকে মাদককে নির্মূল করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী সততা ও আত্মত্যাগের কারনে বিশ্বে সর্বোচ্চ শান্তিসেনা প্রেরনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পুরস্কার অর্জন করেছেন।
আলোচনা সভা ও র্যালীতে শান্তি রক্ষী মিশনে অংশগ্রহনকারী পুলিশ সদস্য ও জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
এফআ/অননিউজ