মরক্কোর ভূমিকম্প বিস্মিত করেছে গবেষকদের। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণে উঠে আসে, অস্বাভাবিক এ ভূমিকম্পের কারণ। গবেষকরা জানান, আফ্রিকান ও ইউরোশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘটিত এ ভূমিকম্পের সময়ে একটি প্লেট কেবলমাত্র আরেকটির ওপরেই ওঠেনি, পাশেও সরে গেছে। গেল ১শ’ বছরের মধ্যে দেশটিতে কখনোই ৬ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হয়নি।
৮ সেপ্টেম্বর, রাত ১১টা ১১। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু।
মার্কিন ভূতত্ব বিষয়ক জরিপ সংস্থা জানায়, মারাকাশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যাটলাস পর্বতমালার ১৬ মাইল গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ১৯০০ সালের পর মরক্কোতে ছয় মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প। এর আগে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প স্বাভাবিক হলেও এতো বড় মাত্রায় ভূমিকম্পে বিস্মিত গবেষকরা। তারা বলছেন, ১৭৫৫ সালের পর এ ধরনের অস্বাভাবিক ভূমিকম্প দেখা যায়নি।
গবেষকরা জানান, মরক্কোর অবস্থান আফ্রিকান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের খুব কাছে হলেও সরাসরি সীমানার ওপর পড়েনি। সাধারণত বছরে মাত্র ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার গতিতে একসঙ্গে নড়াচড়া করে ওই দুই প্লেট। তাই বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি ছিল না বললেই চলে। তবে অ্যাটলাস পবর্তমালায় বেশ কিছু ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে, যা সক্রিয়। ভূ-অভ্যন্তরে ওইসব ফাটলে চাপ বাড়ায় তা ভূমিকম্প হিসেবে প্রকাশ পায়। ভূমিকম্পে একটি প্লেট আরেকটি ওপরে ওঠে, আবার তা পাশেও সরে যায়। আর এ কারণেই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও ব্যাপক বলে মনে করেন তারা।
দেশটির উত্তর অঞ্চল ঝুঁকিতে থাকলেও ভূমিকম্পটি হয় দক্ষিণে। এ কারণেই অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প হবে না তা এখন আর বলা যাবে না।
সাধারণের মানুষের প্রস্তুতির অভাব, বাড়িঘরও ভূমিকম্প সহনীয় নয়। আর রাতে ভূমিকম্প হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
এফআর/অননিউজ