মসজিদের ইমাম ও কমিটি নিয়ে কথাকাটাকাটি, মেম্বারের ছেলের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

কিবরিয়া কিরণ।।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাজী বাড়ী মসজিদের পরিচালনা কমিটি ও ইমামকে অপমান করার ঘটনার জের ধরে সাবেক মেম্বার আক্তার হোসেনের ছেলে রাফি জুম্মার নামাজের পর মসজিদের সামনে রুহুল আমিন নামের এক যুবককে পেটে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মুরাদনগর-হোমনা সড়কের কাজী বাড়ী মসজিদের সামনে এঘটনা ঘটে।

এসময় আহত যুবকের পেট থেকে নাড়ীভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। মুম‚র্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত রুহুল আমিন(২৭) উপজেলা সদরের সফিকুল ইসলামের ছেলে। এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর একদল যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আক্তার হোসেন মেম্বারের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ীর সকল জানালার কাঁচ ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এসময় ঘরে অবস্থান করা নারী শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ে।

জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাজী বাড়ী মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়ে ও গত জুম্মা নামাজের সময় ইমামকে অপমান করেন সাবেক মেম্বার আক্তার হোসেন। এসময় স্থানীয় মুসুল্লিরা প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনার জের ধরে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আক্তার মেম্বার ও তার ছেলে রাফির সাথে স্থানীয়দের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আক্তার মেম্বারের ছেলে রাফি রুহুল আমিন নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে। এসময় মুসল্লীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সজিব মিয়া বলেন আমরা নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি এই ঘটনা ঘটতেছে। আমরা রুহুল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে মেম্বারের ছেলে রাফির হাতে ছুরি দেখেছি।

রুহুল আমিনের পিতা সফিকুল ইসলাম বলেন, ইমাম সাহেবের বিষয় নিয়ে কথা বলাতে আক্তার মেম্বারের ছেলে রাফি আমার ছেলের উপর হামলা করেছে বলে শুনেছি। আমার ছেলেকে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।

সাবেক মেম্বার আক্তার হোসেন বলেন, আমি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার উপর দুই দফা হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। ৯৯৯ কল করে পুলিশের সাহায্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হই।

এব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এই ঘটনায় আহতের ছবি দেখেছি। তবে এখনো কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ