মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
মসজিদের নামকরণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ৮নং আমলী বিজ্ঞ আদালত, মামলাটির সঠিক তদন্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন। হামলায় আহত চারজনের মধ্যে মো. শাহ আলম (৫৮) বাদী হয়ে বারো জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল এই মামলা করেন। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গকুল নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গকুলনগর গ্রামে প্রায় দু’শ বছর আগে ‘গকুলনগর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সম্প্রতি মসজিদটি সংস্কার সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, গকুলনগর গ্রামবাসী তার উদ্যোগ গ্রহন করেন। এই সুবাধে পার্শ^বর্তী নগরপাড় গ্রামের কয়েকজন লোক এগিয়ে আসেন এবং মসজিদের নাম পরিবর্তন করে নগরপাড় পূর্বপাড়া রাখার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন গকুলনগর গ্রামবাসী। এরপর থেকেই বিষয়টি গ্রাম্য ইজমে ছড়িয়ে দেন কতিপয় লোকজন। এর রেশ ধরেই গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মসজিদে খুতবা দেয়ার আগমুহূর্তে নগরপাড় গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে মনির (৪০) মসজিদে দানের টাকা নিয়ে হট্টোগোল বাধিয়ে দেন।
ঘটনা নিবৃত করতে এগিয়ে আসেন, গকুলনগর গ্রামের আ.বারেক মিয়ার ছেলে ও মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মো. শাহ আলম (৫৮)। তার ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টো তার উপরে বেশ কয়েকজন চড়াও হয়ে বেধরক মারধর করেন। এই সময় গকুলনগর গ্রামের হোসেন মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তারেক রহমান বেশ আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এক মুসল্লি ত্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। হামলায় গুরতর আহত মো. শাহ আলমকে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে জেলার কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী ও মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মো.শাহ আলম বলেন, ‘ দু’শ বছরের পুরনো গকুলনগরের মসজিদের নাম পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কামালের বাড়িতে বৈঠক করে ষড়যন্ত্রকারীরা। পরদিন আট তারিখ শুক্রবার পূর্ব-পরিকল্পনায় তারা আমাদের উপর হামলা করে। ’
মামলার প্রধান অভিযুক্ত নগরপাড় গ্রামের মৃত মলফু মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিনের (৪৮) মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এফআর/অননিউজ