সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।।
সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের ভিতরে সন্ত্রাসী হামলায় মোঃ তরিকুল ইসলামসহ দুই মুসল্লী গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা ছেলেসহ ২ জন কে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার যোহরের নামাজের পর এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, আহত তরিকুল ইসলাম মৃত: সৈয়দ ইবাদত ইসলামের ছেলে।
ছুরির আঘাতে পেটের ভুরি কেটে যাওয়ায় আসঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকা জুম্মাপাড়া আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছেলে সজল কে আটক করেছে পুলিশ। একই ঘটনার সাথে জড়িত থাকা জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই আলমগীর পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তালহা ও মোয়াজ্জেম মাওলানা সাব্বির রহমান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে এলাকার মুসল্লিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে যোহরের নামাজের পর ২ ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর ইসলাম ও ছেলে সজল মিলে মসজিদের ভিতরে ধারালো ছুরি দিয়ে তরিকুল ইসলামের হাত পিঠ ও পেটে ছুরির আঘাত করলে মসজিদের ভিতরে পেটের ভুড়ি বেড়িয়ে আসে, এসময় তরিকুল ইসলামকে বাচাতে মুসল্লি দুলু এগিয়ে আসলে সেও ছুরির আঘাতে আহত হয়। নামাজরত মুসল্লিরা দ্রæত নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় কতব্যরত চিকিৎসক রোগির অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফনুল আবেদীন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তৎক্ষনাত ঘটনার সাথে জড়িত থাকা বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে আলমগীর ইসলাম।