ইসলামী জীবনব্যবস্থার মূলভিত্তিই হচ্ছে কোরআন এবং সুন্নাহ। কোরআন মানুষের জন্য পথ নির্দেশক। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে মহানবি (সা.)-এর সুন্নাহ। রাসুল (সা.)-এর দিকনির্দেশনা মানুষের জন্য একমাত্র মুক্তির পথ।
মহানবি (সা.) যে আমল করেছেন, সেগুলো নিয়মিত করা মানুষের জন্য অনুকরণীয় শিক্ষা। মূলত, মহানবি (সা.)-এর সব কাজই ছিল মানবজাতির জন্য আদর্শ। রাসুল (সা.)-এর ঘুম, খাওয়া, হাঁটাচলা এই সব বিষয়ের মাঝেই রয়েছে উত্তম আদর্শ।
মহানবি (সা.) যেসব খাবার খেতেন, তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তিনি লাউ, বার্লি, খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, মধু, তরমুজ, দুধ, মাশরুম, অলিভ অয়েল, ডালিম, ভিনেগার ও পানি পছন্দ করতেন। তবে এগুলোর মধ্যে মহানবি (সা.) সকালে সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করতেন।
এ বিষয়ে সাহাবারা নবি (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এরপরে সাহাবিরাও সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করতেন।
রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না (বোখারি)।
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি বস্তু ফিরিয়ে দেওয়া যায় না- বালিশ, সুগন্ধি তেল বা সুগন্ধি দ্রব্য এবং দুধ (তিরমিজি)।’
এ দিকে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়ও দেখা গেছে, প্রতিদিন সকালে সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করলে মানুষের শরীরের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও এনজাইমগুলো দ্রুত কাজ করা শুরু করে। এতে মানুষের শরীর ভালো থাকে। মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়। লিভার ভালো থাকে। ত্বক সুন্দর হয়।