তীব্র দাবদাহের মাঝেই মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনজীবন। চরমভাবে ব্যাহত উৎপাদন, বন্ধ থাকছে দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্প। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে তাঁতী ও ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সারাদিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে, তাছাড়া বিদ্যুৎ থাকে না।
তীব্র দাবদাহে মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের চাহিদা ২৫ মেগাওয়াট বাড়লেও পিক আওয়ারে ঘাটতি থাকছে ২০ মেগাওয়াট। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন বৃষ্টির পর হঠাৎ করে তাপদাহ শুরু হয়েছে। এই তাপদাহের কারণে ডিমান্ড অনেক বেড়ে গেছে। আবার যখন তাপদাহ কমবে তখন হয়তো ডিমান্ড কমে যাবে লোডশেডিংও থাকবেনা।
প্রচণ্ড গরমের মাঝেই গত দশদিন ধরে চলমান লোডশেডিংয়ে বিভাগীয় নগরী রংপুরের জনজীবনেও হাঁসফাস। বিদ্যুত গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্যে খুব সমস্যা হচ্ছে। পুরো মার্কেট বন্ধ হয়ে আছে। সরকার যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন রংপুরে বিদ্যুৎতের চরম অব্যবস্থাপনা রংপুরের মানুষরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।
দিনে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে গাজীপুরে পাওয়া যাচ্ছে না ৪০ শতাংশও। শিল্পাঞ্চলের শিল্পকারখানাগুলো বন্ধের পথে। গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার যুবরাজ পাল বলেন, “বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে, তারা সেটা পালন করছে।” উৎপাদন ব্যাহত টাঙ্গাইলের বস্ত্রমিলগুলোতেও। লোকসানের মুখে ব্যবসায়ী ও শাড়ির কারিগররা।
তারা জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে আর আসে না। কাজ করতে পারছিনা, শ্রমিকদের বেতনও দিতে পারছিনা। বগুড়ায় লোডশেডিংয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বেশিরভাগ কারখানা। নষ্ট হচ্ছে ফার্মেসির ফ্রিজে থাকা জরুরি ওষুধ। দিনে কয়েক দফায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।
এসকেডি/অননিউজ