মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বিচলিত নয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান-র্যাব। মানবাধিকার রক্ষা করেই দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাক্ষাৎকারে এই বার্তা দেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসন। তিনি স্পষ্ট জনান, র্যাবের কোনো সদস্য অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ দেশের প্রথম এলিট ফোর্স র্যাব গঠনের পর থেকেই পর্যায়ক্রমে দেশজুড়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
জেএমবি শীর্ষ দুই নেতা শায়েখ রহমান এবং বাংলা ভাইকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে তাদের জঙ্গী বিরোধী কঠোর অবস্থান জানান দেয় র্যাব। মাদক ও অবৈধ অস্ত্র জব্দ, সন্ত্রাস, মানব পাচার, ক্যাসিনো হোতাদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য পায় এই বাহিনীটি।
গত বছরের র্যাবের এক পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিভিন্ন অপরাধের জন্য সারাদেশে গ্রেফতার হয়েছে ২৮ হাজার ৩শ’ ৮৩ জন। জঙ্গি অভিযান হয়েছে ১২৪টি। নতুন জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৬৮ এবং কেএনএফ’র ১৭ ছাড়াও গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়েছে ৭১-এর মানবতা বিরোধী মামলার পলাতক আসামিদেরও।
র্যাব মহাপরিচালক দাবি করেন, বাহিনীটি মানুষের কাছে আস্থার প্রতিক।
র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন বলেন, “আমাদের মূল মন্ত্র হচ্ছে ‘বাংলাদেশ আমার অহঙ্কার’। এর প্রেক্ষিতে আমরা মূল মন্ত্রকে ধারণ করি, পালন করি, লালন করি। আমরা কাজ করি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। দেশের কাজ করি বিধায় র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে, ভালো রয়েছে এবং মানুষ র্যাবকে নিরাপত্তার প্রতীক মনে করে। পাশাপাশি যারা অপশক্তি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মাদক কারবারি- তাদের কাছে র্যাব আতঙ্কের প্রতীক।”
নিজ বাহিনীর কোন সদস্য অপরাধে জাড়ানোর প্রমাণ পেলেই নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
এম. খুরশীদ হোসেন বলেন, “কোনো ব্যক্তির দায় বিভাগ বা বাহিনী বহন করবেনা। মাঝেমধ্যে আমাদের বাহিনীর লোক বিপদগামী হয় কিন্তু অন্য করলে কেউই পার পাবেনা। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, কোনো রেফারেন্স চলবে না। যে অন্য করবে তার দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।”
মানবাধিকার রক্ষার মধ্যে দিয়েই র্যাব তাদের দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “আমরা মানবাধিকার ঠিক রেখে কাজ করছি। মানবাধিকার ঠিক রেখে জঙ্গি মোকাবেলা, মানবাধিকার ধারণ করেই সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করছি।”
সমাজে নানাবিধ অপরাধ রোধে সমাজিক আন্দোলনের উপর গুরুত্ব দেন র্যাব প্রধান।
ফরহাদ/অননিউজ