মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘ভণ্ডদের আখড়া’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। টেনেসিতে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে রাজ্যের আইনসভা থেকে বহিষ্কারের ঘটনাটি দেখিয়ে এক ফেইসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে ওয়াশিংটনের নানান প্রতিক্রিয়া এবং র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়ের এমন মন্তব্য এসেছে। দুই বছর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদন নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
দুজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে বিবিসির করা প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা একজন শ্বেতাঙ্গকে বাদ দিয়ে দুই সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট একগুচ্ছ ভণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, টেনেসির রাজধানী ন্যাশভিলের একটি স্কুলে গত ২৭ মার্চ সকালে বন্দুকধারীর হামলায় ছয়জন নিহত হন। সেই ঘটনার পরপরই রাজ্যের বন্দুক আইন সংশোধন চেয়ে আন্দোলন দানা বেধে ওঠে। তার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল রাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে।
সে সময় পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে স্টেট পার্লামেন্টের তিন আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস, জাস্টিন পিয়ারসন এবং গ্লোরিয়া জনসন অধিবেশন ত্যাগ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে যান। তাদের এই আচরণকে পার্লামেন্টের বিধিভঙ্গ উল্লেখ করে তাদের সদস্যপদ বাতিলের ভোট আহ্বান করা হয়। ভোটে দুই কৃষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস ও জাস্টিন পিয়ারসন তাদের সদস্যপদ হারান। পক্ষান্তরে মাত্র একটি ভোটের কারণে সদস্যপদ হারানো থেকে বেঁচে যান গ্লোরিয়া জনসন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাস্টিন জোনস বলেন, ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর দায়ে তারা আমাদের কণ্ঠস্বর থামিয়ে দিয়েছে। এটি খুবই ভীতিকর।
শান্ত/অননিউজ