আমার ছেলে আমাদের সুখের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসে শ্রমিকের চাকরী করেছে। আমাদের কখনো তার কষ্ট বুঝতে দেয় নাই। আমার মানিকের মুখটা শেষবার দেখতাম চাই। তার লাশটা আপনেরা আইন্না দেন। এসব বলেই অঝোরে বিলাপ করছেন মালয়েশিয়ায় নির্মানাধীণ ভবন ধ্বসে নিহত দেবিদ্বারের সাইফুলের ষাটোর্ধ মা-বাবা।
সরকারের কাছে তাদের একটাই চাওয়া, লাশটা যেন দ্রুত দেশে আসে। জীবিত সন্তানকে না পেলেও মরদেহটা নিজেদের কাছে এনে কবরস্থ করতে চায় স্বজনহারা মানুষগুলো।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে একটি নির্মানাধীন ভবন ধ্বসে মারা যায় মো. সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার অপর দুই সহকর্মীও মারা গেছে। এতে বেশ ক’জন আহত হন এবং চারজন ভবনের নিচে আটকা পড়েন।
সাইফুলের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রমের দক্ষিণ পাড়ায়। সে ওই গ্রামের রোশন ভান্ডারীর ছোট ছেলে।
বুধবার দুপুরে কথা হয়েছে সাইফুলের বাবা রোশন ভান্ডারীর সাথে। সে জানায়, তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভোগছেন অনেকদিন যাবৎ। সোমবারেও তার থেরাপির জন্য ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে সাইফুল, বুধবারে আরও ১০ হাজার টাকা পাঠাবে জানিয়েছিলো। এবার দেশে আসলেই বিয়ে করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে ফতেহাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, সাইফুলের সহকর্মীরা তার মরদেহ দেশে পাঠাবার চেস্টা করছে বলে জেনেছি, আমিও যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ আনার জন্য সরকার সংশ্লিস্টদের সদয় দৃস্টি কামনা করছি। আশা রাখছি স্বজনরা দ্রুত মরদেহ পাবেন।
আরএইচ/অননিউজ