দেবিদ্বারে মো. আব্দুল আলিম খন্দকার নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার বিকালে উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের উজানীজোড়া গ্রামে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে আব্দুল আলিম খন্দকারের বাবা মো. মুছা খন্দকার বলেন, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে একটি অনাকাংখিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে মো. আব্দুল আলিম খন্দকারের বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হত্যা মামলা হয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত স্থানীয় একটি চক্র আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেস্টায় লিপ্ত আছে।
চক্রটি একই উদ্দেশ্যে ১২ এপ্রিলের একটি ঘটনাকে পরিকল্পিত ভাবে অতিরঞ্জিত করে মো. আব্দুল আলিম খন্দকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে এবং একই সাথে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আইন ও ন্যায় বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি ও আমার পরিবার এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই।
তিনি আরও বলেন, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠকে আমার ছেলে মো. আলিম খন্দকারসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হয়ে দুই পরিবারের বিবাদ মিমাংসার চেষ্টা করছিল। সালিশ বৈঠকে শামীম আহাম্মদ একটি পক্ষ নিয়ে বাদ-বিবাদে জড়িয়ে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয়রা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে বাড়ি চলে আসে। পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার ভোরে বুকে তার ব্যথা অনুভব হলে তাকে প্রথমে কুমিল্লা এক আত্মীয়র বাসায় নেয়া হয় এবং পরে কুমিল্লা রেল গেইট সংলগ্ন মীম হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐদিন দুপুর আড়াইটার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সকলের ধারণা সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। মারা যাওয়ার পর পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে কোনো রকম মারার চিহ্ন বা দাগ পায়নি। তারপরও আলিম খন্দকার ও সুমন খন্দকারকে আসামী করে শামীম আহাম্মদের স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পিটিয়ে হত্যার নাটক সাজিয়েছে সমাজের একটি চিহ্নিত দুষ্টু চক্র। তারা আমার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালিয়েছে। আমার বিশ্বাস ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সব সত্য উম্মোচিত হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন খন্দকার, মো. আব্দুল আজিজ খন্দকার, মো. আবুল কশেম খন্দকার, মো. শহীদ খন্দকার, আব্দুল মতিন খন্দকার ও সাবেক মেম্বার মো. আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ।
এফআর/অননিউজ