মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড়ে প্লাই বোর্ড তৈরির কারখানার গুদামে লাগা আগুন প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে এই আগুনের সূত্রপাত। সোমবার (২৫ মার্চ) দৃশ্যমান আগুন নিভে গেছে। তবে গুদামে মজুত করা পাটখড়ি ও প্লাই বোর্ডে আগুনের ফুলকি আছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের ৫৭ জন কর্মী কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (২৪ মার্চ) বেলা সোয়া ১টার দিকে গুদামে মজুত করা পাটখড়িতে আগুন ধরে গেলে শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে বাতাসের কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তারা ব্যর্থ হন। গুদামের পাশেই নদীতে পাটখড়িবোঝাই তিনটি ট্রলার মালামালসহ পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রথম দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, এরপর নারায়ণগঞ্জের আরও চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় কুমিল্লা, ঢাকা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি দল আসে। রাত সাড়ে আটটায় আগুনের ভয়াবহতা কমতে শুরু করে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভাতে টানা কাজ করেছে। দৃশ্যমান আগুন নিভে গেছে। তবে গুদামের মজুত করা পাটখড়ি ও প্লাই বোর্ডে আগুনের ফুলকি আছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে। পাটখড়ি ও প্লাই বোর্ডের ওপরের স্তরে ফুলকি আছে। পানি ছিটিয়ে একটি একটি করে আগুন নির্বাপণ করে মালামাল সরানো হচ্ছে। এ ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ