ভারতের মুম্বাইয়ে প্রচণ্ড ঝড়ের সময় একটি বিশাল বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। এতে ১৪ জন নিহত এবং ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। খবর এনডিটিভির। মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি জ্বালানি স্টেশনের বিপরীতে অবস্থিত ১০০ ফুট বিলবোর্ডটি সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তাণ্ডবে প্রচণ্ড জোরে বিধ্বস্ত হয় নিচের জ্বালানি স্টেশনে।
বর্তমানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। এনডিআরএফ মুম্বাই ফায়ার ব্রিগেড এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতার জন্য দুটি দল পাঠিয়েছে।
বিলবোর্ডটি ইগো মিডিয়া একটি প্লটে স্থাপন করেছিল যা মহারাষ্ট্র সরকারের পুলিশ হাউজিং বিভাগ পুলিশ কল্যাণ কর্পোরেশনকে লিজ দিয়েছে। প্রাঙ্গণে ইগো মিডিয়ার চারটি হোর্ডিং (বিলবোর্ড) রয়েছে, যার একটি সোমবার সন্ধ্যায় ভেঙে পড়ে। মুম্বাই পুলিশ ইগো মিডিয়ার মালিক এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
যদিও ইগো মিডিয়াকে সহকারী পুলিশ কমিশনার (রেলওয়ে)সহ চারটি হোর্ডিংয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, স্থাপনের আগে কোনো অনুমোদন বা অনাপত্তি শংসাপত্র (এনওসি) নেওয়া হয়নি। এ জন্য বিএমসি রেলওয়ে পুলিশের এসিপি এবং রেলওয়ে কমিশনারকে রেলওয়ের দেওয়া সব অনুমতি বাতিল এবং হোর্ডিংগুলো অপসারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করেছে।
মুম্বাইয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এবং শক্তিশালী ধূলিঝড় হয়ে যায়। এ ঝড় মহানগরকে অন্ধকারে ঢেকে ফেলেছিল।
পরিবহনগুলো ঝড়ের প্রবল ধাক্কা খেয়েছে। ঝড়ের মুখে স্থানীয় ট্রেন এবং বিমানবন্দর পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কম দৃশ্যমানতা এবং দমকা বাতাসের কারণে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জরুরি সতর্কতা জারি করে মুম্বাই এবং আশপাশের এলাকায় বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ধসের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে তার সরকার শহরের সমস্ত হোর্ডিংয়ের কাঠামোগত অডিট করবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সরকার এটির তদন্ত করবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিএমসি কমিশনারকে শহরের সমস্ত হোর্ডিংয়ের একটি কাঠামোগত অডিট করার জন্যও বলেছি। যেগুলো অবৈধ এবং বিপজ্জনক পাওয়া গেছে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।”