মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
এক যুবতী অপহরণের দায়ে ৪ যুবককে গ্রেফতারপূর্বক শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত যুবতীকে কুমেক হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা মোসা: লুৎফা বেগম বাদী হয়ে ৬জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর সদরের মধ্যপাড়ার বসতি ওমর আলীর ছেলে নাজমুল হাসানের (২৭) সাথে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভূক্তভোগি ওই যুবতীর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে নাজমুল হাসান যৌতুকের জন্য ওই যুবতীকে মাদক সেবন করিয়া প্রায়ই মারধর করতো। পারিবারিক ভাবে একাধিকবার রফাদফার পরও গত ৩ বছর ৬ মাস পূর্বে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরেও ওই যুবতীকে নানাহ ভাবে উত্ত্যক্ত ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় নাজমুল। ফলে নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা করেন ওই যুবতী। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলার কাজে আদালতে যাবার পথে রামধনীমুড়া এলাকার কবরস্থানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা নাজমুল হাসান ও তার সহযোগিরা সিএনজির পথ গতিরোধ করে। তখন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই যুবতীকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবতীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে শুক্রবার ভোররাতে দাউদকান্দি উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামের অলী উল্লার বাড়ি থেকে ওই যুবতীসহ ৪জনকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলেন, মুরাদনগর সদরের মধ্যপাড়ার ওমর আলীর ছেলে নাজমুল হাসান (২৭), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শরীফ (২৭), নুরু মিয়ার ছেলে রাসেল (২৫) ও একই গ্রামের দক্ষিনপাড়ার সফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (২৬)। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মামলার এক নম্বর আসামী নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আরো ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, অপহরণ করা যুবতীকে উদ্ধার করে ঘটনার সাথে জড়িত ৪ যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এফআর/অননিউজ