মুরাদনগরে এনজিওর ঋণের চাপে গৃহবঁধুর আত্মহত্যা

আজিজুল হক, (মুরাদনগর) কুমিল্লা

কুমিল্লা জেলারমুরাদনগরে এনজিও’র ঋণের কিস্তির টাকা আদায়েরচাপসইতেনা পেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেনবলেঅভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতেনিজঘরে পোকামারারঔষধ খেয়ে ফাতেমা বেগম (৪১) আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রামেরপ্রবাসী মো. লিটনের স্ত্রী।

পুলিশ ফাতেমা বেগমের লাশউদ্ধারকরেময়না তদন্তেরজন্য গতকাল বুধবার সকালে (২১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে বিকালে জাহাপুর গ্রামের খানে পাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতেতার দাফন সম্পূর্ণ হয় তার।

ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে স্থানীয়ইউপি মেম্বার মো. কাউছার ও প্রতিবেশীরাজানান,‘তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়েছিলো ফাতেমার সংসার। মৃত ফাতেমার স্বামী লিটন প্রবাসে থাকেন। শক্তি ফাউন্ডেশন থেকে সে দুইলক্ষটাকা ঋণ নিয়ে স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু স্বামী সেখানে গিয়ে মনপুতকাজ পায়নি। ফলে ঋণের কিস্তি চালাতে হিমসিম খেতে হতোতার। এদিকে ঘরেতারবিবাহ যোগ্য দুটি মেয়ে। অন্য জায়গা থেকে সুদে টাকানিয়ে মেয়ে দুটিকেওবিয়ে দেয় ফাতেমা। ঋণের বোঝা কমাতে ও সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতেবাড়ি বিক্রি করে একমাত্র ছেলে আরিফকে বিদেশে পাঠায় ফাতেমা বেগম। শেষে নবম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে জাহিদা আক্তারকে নিয়ে সে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এনজিওর ঋণ ও সুদেরটাকার বোঝা স্বামী ও সন্তানের ইনকাম দিয়েসামাল দিতে পারতেননাফাতেমা বেগমা। মাস শেষ নাহতেই শক্তি এনজিওর লোক বাড়িতে হাজির হতেন কিস্তির টাকার জন্য। মাসেবিশহাজারটাকা কিস্তি দিতো শক্তি এনজিওতে। আরো অন্যন্যা জায়গায় তার ঋণ ছিলো। তাইপ্রায় তাকে অস্বস্তি চেহানা নিয়ে এদিক-ওদিক যেতে দেখতেন প্রতিবেশিরা। গতকাল রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে মেয়ের চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন জড়ো হয়ে দেখে সে পোকামারারঔষধ খেয়েছটপটকরছে। ঘর থেকে বেরকরেনিতেনিতেইতারমৃত্যু হয়। তবেদিনের বেলায় কিস্তির লোক তার বাড়িতে আসছিলো। তাই এলাকাবাসির ধারণা কিস্তির লোকের চাপে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে।

মুরাদনগর উপজেলার শক্তি ফাউন্ডেশন এনজিওর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এমরানুল রেজা বলেন, ‘ফাতেমা বেগম আমাদের একজন গ্রাহক ছিলেন। তিনি দুইলক্ষটাআমাদের এখান থেকে ঋণ নিয়েছেন। মাসেবিশহাজারটাকাকরেজমা দিতেন। এরমধ্যে এক হাজারটাকাছিলোসঞ্চয়। তার মারা যাওয়ার খবরটি আমরা শুনেছি। তবে কিস্তির টাকারজন্য আমরা কোন চাপ সৃষ্টি করিনি।’
পোকা মারার ঔষধ খেয়ে ফাতেমা বেগমের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার এসআইমফিজ উদ্দিন।

আরো দেখুনঃ