এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে প্রবেশ মাত্রই টাকা আদায়ে বিভোর ছিলো মুরাদনগরের প্রভাবশালী একটি মহল। খেটে খাওয়া সিএনজি ও অটোরিকশা ড্রাইভারদের জিম্মি করে আদায় করা হতো টাকা। এলাকাবাসীর নিকট চাঁদাবাজিটির ছদ্মনাম হলো জিপি। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই জিপির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হতো সাধারণ যাত্রীদের।
কুমিল্লার মুরাদনগরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে জিপি আদায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা বলেছিলেন জিপি মুক্ত করবেন মুরাদনগরবাসীকে। ৭তারিখ ফল ঘোষণার পরেই তিনি মুরাদনগরের সকল ¯ট্যান্ডে বন্ধ ঘোষণা করেন জিপি আদায়।
জিপির কবল থেকে রক্ষা পাওয়ায় মুহুর্তেই সকলের প্রসংশায় ভেসেছেন নবনির্বাচিত সাংসদ। এলাকাবাসীকে দেওয়া প্রথম কথা রাখার মাধ্যমে কাজ শুরু করেছেন নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে ও খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট লাঘবে। বাঙ্গরা, মুরাদনগর সদর, কোম্পানীগঞ্জ, ইলিয়টগঞ্জ, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, শ্রীকাইল সহ সকল স্টেশনের জিপি আদায়কারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণার মাধ্যমে, কেউ জিপি আদায় করলে তাকে তৎক্ষনাৎ পুলিশে সোপর্দ করতেও বলা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আলামিন বলেন, দুই থানার ওসিকে বলা হয়েছে জিপি আদায়কারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকতে। কেউ জিপি আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করলে আমাদেরকে জানিয়ে দিন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
সিএনজি ড্রাইভার মানিক বলেন, প্রতিদিন জিপি দিলে আমাদের গাড়ী রাস্তায় চলতো। জিপি না দিলে গাড়ী আটকে রাখতো। ছোট গাড়ীতে কত টাকা ইনকাম হয়? তাও আমাদের ছাড় দিতোনা তারা। জিপিমুক্ত করায় আমরা খুব খুশি।
নবনির্বাচিত সাংসদ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমার ড্রাইভার ভাইদেরকে তারা নির্যাতন করতো জিপির জন্য। আল্লাহর রহমতে আমি জিপি আদায় বন্ধ করেছি। কেউ অবৈধ চাঁদা দিবেন না, আমার এলাকা হবে চাঁদাবাজ মুক্ত।
এফআর/অননিউজ