কুমিল্লা-০৩ মুরাদনগরের নবনির্বাচিত এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার দাঁড়িয়ে থেকে খাল খনন কাজের সূচনা করলেন। এই কাজে উপজেলা সদরের বাজারের ব্যবসায়ীসহ প্রায় দুই হাজার পরিবার দীর্ঘদিনের জলাশয়ের ভোগান্তির থেকে রেহাই পাবে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে উপজেলা সদরে গোলক রায়ের বাড়ির সামনের খালকে দখল মুক্ত করে খনন কাজের শুভ সূচনা করেন।
মুরাদনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, টানা দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলে বাজারের ভিতরে পারি জমে যায়। কারণ হলো যেই খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতো তা ছিল বেদখল। ফলে বৃষ্টির পানির সাথে নালা ও নর্দমার পানি একাকার হয়ে বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই পানি মারিয়ে ক্রেতা বাজারে আসেন না। এতে আমাদের অনেক ব্যবসার ক্ষতি হয়। বাজারে নতুন দোকান দিয়ে অনেক নেতাই লাভবান হয়েছেন কিন্তু বাজারের উন্নতি হয়নি।
উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান কাজী তুফরিজ এটন বলেন, মাস্টারপাড়াসহ আশপাশের প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস। বৃষ্টির দিনে এই আবাসিক এলাকার চিত্র হয় ভিন্ন। নালা-নর্দমার ময়লা পানি বাসাবাড়িতে গিয়ে ঢুকে। বেদখল হওয়া খানটি খননের ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ড.আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, সাবেক এমপি সাহেবের কিছু লোক এই খালটি দখল করে রেখেছিলো। বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সাহসী ও মহতী উদ্যোগে হাজারো মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। তাছাড়া মুরাদনগর সদরসহ আশপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান অব্যাহত আছে। সবুজ ও তিলোত্তমা মুরাদনগর উপহার দেয়াড় কাজ শুরু হয়ে গেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ২৮ বছর উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ছিলাম। আমি মাঠের নেতা। সব শ্রেণীপেশার মানুষের উৎসব মুখর ভোটে আমি এমপি হয়েছি। সুতরাং কোন বিশেষ মহলের সুবিধা আমার কাছে নাই। সর্ব সাধারণের কল্যাণে কাজ শুরু করে দিয়েছি। গত বিশ বছরের ভোগান্তি নিরসনে আমি দাঁড়িয়ে থেকে খাল খননের কাজ শুরু করে দিয়েছি।
এফআর/অননিউজ