কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী জিহাদ মোল্লার (১৭) হাত কেটে নেওয়ার পরও ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। মামলা তুলে নিতে অনবরত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তারা। মামলা তুলে না নিলে এবার জিহাদ মোল্লার গলা কেটে নেওয়ার হুমকি ও ধমকিতে আতংকগ্রস্ত একটি পরিবার। বাধ্য হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন জিহাদ মোল্লার মা ও প্রবাসী মানিক মোল্লার স্ত্রী সালেহা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর একটি নিছক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসএসসি পরীক্ষার্থী জিহাদ মোল্লার ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়। সে ঘটনায় ছালেহা বেগম ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আসামিরা হলেন, জাহিদ হাসান, মরিয়ম বেগম, মেহেদী হাসান ও ছালাউদ্দিন। ওই মামলায় মেহেদী হাসান চার মাস কারাভোগের পর জামিনে এসে বিদেশে পাড়ি জমায়। এর কিছুদিন পরই তার বাবা আক্তারুজ্জামান দেশে চলে আসে। এসেই মামলার বাদী ছালেহা বেগমকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি-ধমকি প্রর্দশন করে আসছে।
মামলার বাদী ছালেহা বেগম বলেন, আসামিদের ভয়ে আমি ছয় মাস বাড়ির বাহিরে ছিলাম। ছেলের পরীক্ষার জন্য বাড়িতে আসা মাত্রই আমার ভাসুর ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তারা বলেন, যদি মামলা তুলে না নেই এবার তারা আমার ছেলে জিহাদ মোল্লার গলা কেটে নিবে।
সদ্য সমাপ্তি এসএসসি পরিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, চাচাতো ভাই মেহেদী হাসানের দায়ের কোপে আমার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই বাম হাতে লিখে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ডান হাতের মতো দ্রুত লিখতে পারি নাই, তাই পরীক্ষাও তেমন ভাল হয়নি। বাম হাত দিয়ে লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিল সেনা বাহিনীতে চাকরি করব। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না আমার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক ময়নামতিকে বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।