কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঁদা না দেয়ায় দুই জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বখাটে হেলালের নেতৃত্বে দুইজন সিএনজি ড্রাইভার ওই হামলার শিকার হয়। হেলাল উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত মালেক মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে জুয়েল(৩০) বাদী হয়ে চিহ্নিত ৪ জনকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বাকী আসামিরা হলেন একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলী, ধনু মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, কানা জামাল মিয়ার ছেলে মাহাবুব।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত দুই ফ্রেরুয়ারী রাত নয় ঘটিকায় সিএনজি ড্রাইবার জুয়েল(৩০) ও মোবারক হোসেন (২৬) সিএনজি চালিয়ে আল্লাহ চত্ত¡রের পশ্চিম পাশের বাহার উদ্দিনের চায়ের দোকানের সামনে আসলে পূর্ব পরিকল্পিত হেলাল মিয়ার নেতৃত্বে ওত পেতে থাকা একদল চাঁদাবাজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিএনজি ড্রাইভার জুয়েল ও মোবারকের পথ আগলে ধরে। এই সময় চাঁদাবাজরা জুয়েলের কাছে ২০ হাজার ও মোবারকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে সিএনজি থেকে টেনে হিছরে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি মেরে আহত করে। স্থানীয়রা আহত সিএনাজি ড্রাইভার জুয়েল ও মোবারকে আহত অবস্থায় মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত জুয়েল মিয়া রহিমপুর গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে ও মোবারক হোসেন ভূবনঘর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে।
আহত মোবারক হোসেন বলেন, দুই জানুয়ারী রাতে আমি সিএনজি চালিয়ে উপজেলার আল্লাহ চত্ত¡র আসলে হেলালের নেতৃত্বে ৮/১০ জন আমার পথ আগলে ধরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাদেরকে বলি সিএনজি চালিয়ে সংসার চালাই ৫০ হাজার টাকা আমি কোথা থেকে দিব। চাঁদা না দিলে গাড়ি চালাতে পারবো না বলেই লোহার রড ধারালো ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে আমাকে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, হেলাল একজন নেশাগ্রস্ত ছেলে, তার সাথে যারা চলাফেরা করে তারা সবাই মাদকাসক্ত। মাদক সেবন করে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে থাকে। পূর্বেও হেলালের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলবে । প্রশাসন এদের লাগাম এখনি টেনে না ধরলে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটবে। তারা আরো বলেন, গতকাল চাঁদা না পেয়ে যে দুটি নিরীহ ছেলের উপর হামলা করেছে তা অমানবিক।
মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফআর/অননিউজ