মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নে নির্মিত সেতুর পলেস্তরা ভেঙ্গে নিচে পরে গেছে। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। চলছে প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ৪০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ ফুট চওড়া সেতুর মাঝ বরাবর পলেস্তরা ভেঙে গেছে। গত তিন ধরে ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার। তবে বেশির ভাগ লোকজন হেঁটেই পার হচ্ছে। উপজেলার ধামঘর, পাহাড়পুর ও বাবুটি পাড়া ইউনিয়নসহ বেশ কয়েটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩৫ গ্রামের কয়েক হাজার লোক এ সেতু দিয়ে দৈনিক যাতায়ত করে। গত একবছরে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে একাদিকবার মেরামত করা হয়েছে। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই সেতুটির পলেস্তরা খসে পড়ে।
শিক্ষার্থী ফাহিম, রাবেয়া, ও সৈকতসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলে, ভাঙা সেতু পার হয়েই তারা বিদ্যালয়ে যায়। তবে সেতুটি পার হতে ভয় লাগে। বৃষ্টি হলে হেঁটে পার হওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছে।
বাবুটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরমান মিয়া বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে সেতুর বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে সেতু দিয়ে। এর আগেও সেতুটি মেরামত করা হয়েছে কয়েকবার।
মুরাদনগর উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রায়হানুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সেতুটির ভেঙ্গে যাওয়া অংশটি দ্রæত মেরামত করা হবে। ৪০ মিটার লম্বা ও ৭ মিটার প্রস্থে নতুন সেতুর প্রস্তবনা চলমান আছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভ‚ইয়া জনী বলেন, ‘ উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) থেকে পাকোলন করে পাঠানো হয়েছে। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আশা করি আগামী অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণ করা হবে।’
এফআর/অননিউজ