কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জামাই। সাথে থাকা শ^শুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গুঞ্জর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হরমুজ মিয়া (৪০) গুনঞ্জর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর ছেলে। গুরতর আহত বাচ্চু মিয়া (৭০) একই গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। হরমুজ মিয়া বাচ্চু মিয়ার বড় মেয়ের জামাই। জামাই-শ^শুর দু’জনই বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এই ঘটনায় উভয়ের পরিবারে চলছে মাতম। গ্রামে নেমে আসছে শোকের ছায়া।
ঘাতক ট্রাকক্টরের ড্রাইভার সজিব একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, দির্ঘদিন ধরে গুঞ্জর গ্রামের কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় দিতো ড্রাইভার সজিব। মাটি নিয়ে দ্রæত গতিতে ছুটতে গিয়ে বেলতলি পার হয়ে মহাজন বাড়ির পোল থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে তাদের উপরে চড়াও হয় ঘাতক ট্রাক্টর। আর ঘটনাস্থলেই মারা যায় হরমুজ মিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় বৃদ্ধ বাচ্চু মিয়াকে।
মুরাদনগর থানার ওসি প্রবাস চন্দ্র ধর বলেন, ট্রাক্টরের চাপায় ঘটনাস্থলেই হরমুজ মিয়া মারা গেছে। আশঙ্কাজনক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে। গাড়িটা আমাদের হেফাজতে আছে। ড্রাইভারকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এফআর/অননিউজ