কুমিল্লার মুরাদনগরে গোমতী নদীর বালু-মাটি লুট করার অভিযোগে উত্তর ত্রিশ ও দক্ষিণ ত্রিশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার দু’টি ড্রেজার জব্ধ, এক লাখ টাকা জরিমানা, ৫শ’ পাইপ বিনষ্ট করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের নেতৃত্ব দেন, উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আলাউদ্দীন ভুঞা জনী এবং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হুদা।
জানা যায়, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গত ৩ বছর যাবত গোমতী নদীর মাটি এবং বালু লুট করছে উপজেলা যুবলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। সে উত্তর ত্রিশ গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে। অপর দিকে দক্ষিণ ত্রিশ এলাকায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গোমতী নদীর মাটি এবং বালু লুট করছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সফিক তুহিন। সে দক্ষিণ ত্রিশ গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। তারা দলীয় শেল্টারে মাটি এবং বালু বিক্রি করে এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আলাউদ্দীন ভুঞা জনী এবং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হুদা নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ ড্রেজার পরিচালনাকারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য সেই জাহাঙ্গীর আলমকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে উভয় নেতার ২টি ড্রেজার মেশিন জব্ধ ও ৫শ’ ফুট পাইপ বিনষ্ট করে দেওয়া হয়।
মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আলাউদ্দীন ভুঞা জনী বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উপজেলার কৃষি জমি রক্ষায় অসাধু ড্রেজার ব্যবসায়ী চক্রকে নির্মূল করার লক্ষে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।