কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ধামঘর ইউনিয়নে খুরুইল গ্রামের আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি তার ভাতিজাকে হত্যার হুমকি দেওয়া ইমরান সরকার (২৬) নামের এক যুবক বাদী হয়ে তার চাচা আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের একদিন পর আব্দুল লতিফ ওই গ্রামের এক ভারাটে সন্ত্রাসী দিয়ে ইমরান সরকারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। অহত ইমরান সরকার খুরুইল গ্রামের মৃত আবু কাউসার সরকারের ছেলে।
অভিযোগ ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আব্দুল লতিফ গত তিন বছর আগে ১৪ জন অংশিদ্বারীতের কাছ থেকে ৩২০ শতক জমি পত্তন নেয়। কিন্তু সে পত্তনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পুকুরের দখল না ছাড়ায় ২৩ শে জানুয়ারি অংশিদ্বাররা একটি বিচার শালিসিতে বসে, সেখানে আব্দুল লতিফ উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। আব্দুল লতিফ শালিসিতে উপস্থিত না থাকায় তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে সবাইকে জানিয়ে দেয় পুকুরের ব্যপারে কেউ কথা বললে তাকে খুন করে ফেলব। উপায় বুদ্ধি না পেয়ে পুকুরের আংশিদ্বার কিবরিয়া মাষ্টার (৩৫), কাইয়ূম সরকার (৩৪) ও ইমরান সরকার (২৬)পৃথক-পৃথক ভাবে আব্দুল লতিফকে বিবাদী করে ২৪শে জানুয়ারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের পরদিন ইমরান সরকার সকাল বেলা খুরুইল গ্রামে নোয়াবালি মার্কেটে বাজার করতে গেলে সেখানে ওতপেতে থাকা ওই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে ইয়াসিন ফিল্মি স্টাইলে ইমরান সরকারকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করে। এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে আরো একজন আহত হয়, বাকিরা ভয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস মিয়া বলেন,আমি ইমরানকে পিটাতে দেখে ইয়াছিনকে বাঁধাদেই কিন্তু ইয়াছিন আমাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে আমার হাতে মারাত্মক ভাবে আঘাত পাপ্ত হই।
মুরাদনগর থানার ওসি তদন্ত শরীফ ইবনে আলম বলেন,এই বিষয়ে তিন জনের পৃথক পৃথক তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফআর/অননিউজ