মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঢাকার ব্যবসায়ী মোঃ খাইরুল ইসলাম মিনহাজ তার এলাকার মোঃ কাশেম মিয়ার (৪৫) নিকট হতে গত ২০ জুলাই ২০২৩ইং মুরাদনগর উপজেলাধীন ধামঘর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বর্তমান ২২৪ দাগভুক্ত ২৭ শতক সম্পত্তি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির পরিচয়ে কাশেম মিয়ার আপন চাচাতো ভাই মোঃ শাহজাহান(৪৫), মোঃ বিল্লাল হোসেন(৩২) সহ আরো অনেকের সামনে মৌখিক চুক্তিনামার মাধ্যমে নগদ ১০ লক্ষ টাকার মৌখিক চুক্তি হয়।
বায়না শর্তের ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেও চুক্তি গ্রহীতাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমির রেজিস্ট্রি না দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি মৌখিক বায়না গ্রহীতার কাছ থেকে নেয়া ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন অসাধু চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনসহ প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আটকে ব্যবসায়িক খাইরুল ইসলামের পরিবারটি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
খাইরুল ইসলামের কাছে উক্ত সম্পিত্তি বিক্রি করবে না কাশেম, অন্যত্রে আরো অধিক মূল্যে উক্ত সম্পত্তি বিক্রি করবে। এমন খবরে গত ৬ আগস্ট দুপুরে উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রির বিষয়ে কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, কাশেম মিয়া ক্রেতা খায়রুল ইসলাম মিনহাজের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে কাশেম সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তাকে এলোপাথাড়ী মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাভ জখম করে। পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম বলেন, কাশেম মিয়া একজন বাটপার ও প্রতারক জমি বিক্রির নামে প্রতারণা করাই তার মূলপেশা। আমার মতো বেশ কয়েকজনের কাছে জমি বিক্রি করবে বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একই জায়গা আমার মতো কতজনের কাছে বিক্রি করছে। এরপর জমি রেজিস্ট্রি বা টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক কাশেম মিয়া আমাকে জিম্মি করে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার এই প্রতারক চক্রের সাথে আরো বেশ কয়েকজন জড়িত আছে বলে ও জানান ভুক্তভোগি খাইরুল ইসলাম ।
স্থানীয়রা বলছেন, কাশেম মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক। মুরাদনগর থানাধীন এলাকায় চিন্নিত প্রতারক নামে পরিচিত সে। তার একটি প্রতারক চক্র আছে তারা বেশ কয়েকজন মিলে এমন প্রতারনার জাল বুনে স্থানীয় সহজ সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে। কাশেম মিয়ার এই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং আগামীতে খুনের মতো ঘটনা ও ঘটতে পারে।এই মুহূর্তে প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকে। উক্ত জায়গাটি নিয়ে কুমিল্লার আদালতে একটা মামলা চলমান যাহার মামলা নং সি আর ৫০৭/২০২৩ ধারা-৪০৬/৪২০/৩২৩ দন্ডবিধি । মামলাটি বর্তমানে মুরাদনগর থানার অধীনে তদন্তাধীন আছে।
অভিযোগের বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী বলেন,আমাদের কাছে ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম একটা অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
এফআর/অননিউজ