আনোয়ারা মজিদ একাডেমি হোন্ডাকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাধবপুর একাদশকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাখরাবাদ একাদশ চ্যাম্পিয়য়ের গৌরব অর্জণ করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা সফুরা জাহাঙ্গীর খেলার মাঠে ওই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম সরকার এমপি। আনোয়ারা মজিদের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সরকার এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন।
দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে উক্ত খেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সম্মানীত অতিথি ছিলেন, এমপি আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সহধর্মীনী মোসা. বদরুন্নাহার। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলাম দিপু, ইউপি চেয়ারম্যান বাহর খান, শুকলাল দেবনাথ, সৈয়দ সৈকত আহমেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, ওমর ফারুক সরকার।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে মোটর সাইকেল ও রানারআপ দলকে ফ্রিজ তুলে দেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর। এ সময় মেয়েদের মাঝে অনুষ্ঠিত সাইকেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচজনকে পুরস্কার তুলে দেন, আনোয়ারা মজিদের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সরকার। খেলা শেষে সন্ধ্যায় পালাসুতা জাহাঙ্গীর সুপার মার্কেটে মঞ্চ মাতিয়ে তুলেন সঙ্গীত শিল্পী ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত লালন কন্যা নাছরিন আক্তার বিউটি।
টুর্নামেন্ট, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের, ভিপি জাকির হোসেন। নির্বাচনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আওয়ামীলীগ নেতা মাশুকুল ইসলাম মাশুক। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম লুনা, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর রহমান হেলাল, বাঙ্গরা বাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ আকরাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন আনোয়ারা মজিদের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সরকার। তিনি ৭/৮ জন কৃষক থেকে ব্যক্তিগত ৩৮ লাখ টাকায় ৯০ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে মাটি ভরাট করে সফুরা জাহাঙ্গীর খেলার মাঠটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। একই সাথে উক্ত খেলার মাঠে আসা যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দিয়ে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
এফআর/অননিউজ