মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাহীন জয়ের পথে কিশোর
সাজ্জাদ হোসেন, মুরাদনগর
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর। তবে ভোটের মাঠে তার বিপক্ষে নেই কোনো প্রতিদ্বন্ধী। ফলে প্রতিদ্বন্ধিতাহীন এক প্রকার হেসে খেলেই জয় আসবে প্রায়ই নিশ্চিত। তারপরও তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রমূখি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ড. কিশোরের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২৯ মে বুধবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
নির্বাচনী মাঠে চেয়ারম্যান পদে ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোরের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার হাসান (ঘোড়া), প্রবাসী রাশেদ আলম হায়দার (দোয়াত কলম) ও বসির আহমেদ (কাপ-পিরিচ)।
ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোরের শক্ত প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন, দোয়াত কলম প্রতীকের প্রবাসী রাশেদ আলম হায়দার। কিন্তু তিনি হঠাৎ নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে নিরুদ্দেশ। অপর দু’প্রার্থী অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ড. কিশোরকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার হাসান (ঘোড়া) ও বসির আহমেদ (কাপ-পিরিচ)। এর মধ্য দিয়ে ড. কিশোরের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ড. কিশোর জাতীয় সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ২৮ বছরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে। প্রতিদ্বন্ধীতাহীন নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পরপর দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর।
এ দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন- সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল (চশমা), হাবিবুর রহমান (উড়োজাহাজ), শাহিন (টিউবওয়েল), আতিকুর রহমান হেলাল (তালা) ও আবদুল্লাহ নজরুল (টিয়া পাখি)। তবে চশমা প্রতীকের সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল ও উড়োজাহাজ প্রতীকের হাবিবুর রহমানের মধ্যে লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। টিউবওয়েল প্রতীতের প্রবাসী শাহিন ও এগিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে।
অপর দিকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন- আফজালুন্নেছা বাসিত (ফুটবল), কুলসুম বেগম মিতু (কলস), সানোয়ারা বেগম (সেলাই মেশিন), নুরজাহান মজুমদার (হাঁস), আছমা বেগম (পদ্মফুল) ও নাজমা আক্তার (প্রজাপতি)। এখানেও প্রথম ৩ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হচ্ছে সমান তালে।
উল্লেখ্য, প্রতিদ্বন্ধিতাহীন এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন আগ্রহও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়ানোর ফলে মুরাদনগর উপজেলার ভোটাররা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। আগামী ২৯ মে বুধবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।