মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করে ড্রেন নির্মান কাজ বন্ধ করে দিলেন জেলা প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ড্রেন নির্মানকাজ ও খালটি পরিদর্শন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কাবিরুল ইসলাম খাঁন এ কাজ বন্ধ করে দেন।
ড্রেন নির্মান কারি প্রণবেশ রায় বলেন, ‘আমার নিজস্ব অর্থায়নে কালর্ভাট নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলাম। তবে এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভ‚ইয়া জনী বলেন, ‘মন্দিরে যাতায়াত ও এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে বক্স ড্রেন নির্মানের বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না।’
জানা যায়, উপজেলা সদরের গোলকশাহর বাড়ীর পাশে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের মুরাদনগর মৌজার ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খালের চারদিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছিলেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যাক্তি। এই ড্রেন নির্মানে উপজেলা সদরের বাসিন্দা সহবাজারের বর্জ্য ও বৃষ্টির পানি প্রবাহে বড় বাধার কারণ হয়ে ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হবে স্থানীয়দের। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনতে গিয়ে স্থানীয়রা জানতে পারেন, সু-কৌশলে অনুমতি নিয়ে এই কাজ করছেন প্রণবেশ রায়। পরে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আনে তাঁরা।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে কালভার্ট নির্মানকাজ ও খালটি পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কাবিরুল ইসলাম খাঁন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনী, উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলম চৌধুরি, মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী তুফরীজ এটন, কানুনগো মো. সেলিম, ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম আরিফ, সার্ভেয়ার মো. শরিফ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কাবিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, খাল দখল করে বক্স-ড্রেন নির্মানের কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খালটি পরিদর্শন করেছি। শিঘ্রই এ খালের দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি খনন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এফআর/অননিউজ