মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক লাখ লোক চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা মানুষ পায়ে হাটতেও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কাজের গুনগত মান নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ বলেছেন, ঠিকাদারের উদাসীনতায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের ১২ কি: মি: রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিএইচবিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি গত জুন মাসের মাঝামাঝি মুরাদনগর উপজেলা সদরের ৩শ’ মিটার ধালাই কাজ শুরু করে। মাত্র ৫০ মিটার করেই বাকী কাজ বন্ধ রেখে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদার। গত ৩০ জুন কাজ শেষ করার মেয়াদ পার হয়ে গেছে। সময় বর্ধিত করার জন্য আবেদন করেছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় অন্তত ১৫/২০জন বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ এক মাস ধরে এ সড়কের কাজ বন্ধ রাখায় প্রায় প্রতিদিনই এই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তায় কাজ বন্ধ রাখায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে কাদা ও গর্ত সৃষ্টির ফলে এলাকার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তার এই দূর্ভোগের কারণে এলাকার কৃষক তাদের কষ্টের উৎপাদিত কৃষি পন্য সময়মত বাজার জাত করতে না পারায় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জরুরী ও মূমূর্ষ রোগিদের দ্রæত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সময়মত চিকিৎসার অভাবে অনেকেই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এখানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানবাহন প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি নাজুক অবস্থায় দাড়ায়। ফলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও যে কোন সময় যানবাহনের নিচে চাপা পড়তে পারে।
মুরাদনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী তুফরীজ এটন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে জনগুরত্বপূর্ণ এ রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা তাদের স্কুলে সময়মত পৌছা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টির ফলে এ রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতেও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিএইচবি’র চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বাবুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ঠিকাদারের গাফলতিতে কাজটি বন্ধ রয়েছে। যথাসময়ে রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বারবার তাগাদা ও নোটিশ দেওয়ার পর ঠিকাদারের সাথে চূড়ান্ত কথা হয়েছে। সহসাই ঠিকাদার কাজ শুরু করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। # #
এফআর/অননিউজ