মুরাদনগর ২২টি ইউপিতে শতাধিক প্রার্থী আকবপুরে কে হবে নৌকার কান্ডারী!
শান্তনু হাসান খান (বিশেষ প্রতিনিধি),কুমিল্লা।।
সারাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপি নির্বাচন করতে যাচ্ছে স্থানীয় মাঠ প্রশাসন। ব্যাপক সহিংসতা আর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যদিয়ে দু’ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করেছে সিইসি। তৃতীয় ধাপে ৮৩৫টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে মাত্র ৩৩৮ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার একক প্রার্থী হয়ে।
চরমোনায়েমের ইসলামী ঐক্যজোটের হাত পাখায় ৬টি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর ৫০৪ জন আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপি নির্বাচন হবে ২৩ ডিসেম্বর, ২৫ নভেম্বর মনোয়ন জমা, বাছাই ২৯ নভেম্বর, আপীল করা যাবে ৩০ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে ৬ ডিসেম্বর।
আর সেই আলোকে এবার কুমিল্লার মুরাদনগরের ২২টি ইউপি নির্বাচনে তফসিল ডিসেম্বরে। তফসিল ঘোষণার পরপরই সম্ভাব্য প্রার্থীরা একটু নড়েচড়ে বসবেন বলে আশা করা যায়। তবে আলোচিত ২নং আকবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আহমেদ মোল্লা-এবারও নৌকার প্রতীক চাইছেন। পাশাপাশি তারই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান তিনিও নৌকার কান্ডারী হতে চান। তবে সবটাই নির্ভর করছে এলাকার এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন’র সুপারিশের উপর। এদিকে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের পছন্দের তালিকায় বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মোল্লাকেই রেখেছেন।
বাবুল মোল্লা আকবপুরের ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার। বেড়ে উঠেছেন এ জনপদে। মাটি আর মানুষের সাথে সম্পৃক্ত ছোট বেলা থেকেই। পড়াশোনা করেছেন স্থানীয়ভাবে এবং পরে চট্টগ্রামের পটিয়াতে। তিনি বলেন, আমার প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ এলাকার কৃতিসন্তান এবং সমাজসেবক মাননীয় এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। এবারও আমাকে দলীয়ভাবে নমিনিয়েশন দিতে সাহায্য করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাসের উপর ভর করে আমি নির্বাচনের মাঠকে গুছিয়ে রেখেছি। আর নির্বাচিত হলে এ ইউনিয়নকে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাইলাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।
বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মোল্লা আরো বলেন, আমি যদি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারি তাহলে উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাধা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। ইতিমধ্যেই আমি এলাকায় ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও এলাকার ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিককে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করেছি আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে।
আর সবকিছুই হয়েছে আমার এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এর দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যেই। এ ধারাবাকিতা রক্ষা করার চেষ্টা করবো আগামী দিনগুলোতে। আমি কোনো প্রফেশনাল চেয়ারম্যান হয়ে – টিআর-কাবিখা’র পেছনে দৌড়াতে চাই না। জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমি আগামীতে মাদকের প্রভাব থেকে যুব সমাজকে নতুন আলোর পথ দেখাতে চেষ্টা করে যাবো। পাশাপাশি যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে-ইনশালল্লাহ যা ইতিমধ্যেই মাননীয় এমপি মহোদয় মুরাদনগরের ব্যাপক এলাকায় অনেক যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর এ প্রচেষ্টাকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আমিও জানাই।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24