কিশোরগঞ্জে নিজের মেয়েকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে এক বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে শহরের গাইটাল পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত বাবা মঞ্জিল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের কাওয়ারগাতি গ্রামের মৃত গুনু মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্ত মঞ্জিল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের কাওয়ারগাতি গ্রামের মৃত গুনু মিয়ার ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের সঙ্গে ১৮ বছর আগে বিয়ে হয় মঞ্জিলের। দাম্পত্য জীবনে তাদের চারজন মেয়ে সন্তান রয়েছেন। ভুক্তভোগী মেয়ে ৯ মাস আগে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে খালাত ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রায়ই মো. মঞ্জিল মিয়া মেয়েটির শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে মেয়েকে কিশোরগঞ্জ শহরের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার ২৭ জুন ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের প্রসবের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এই সুযোগে ওইদিন রাতে বাসায় কেউ না থাকার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার বাবা মঞ্জিল মিয়া। গত বুধবার ১৯ জুলাই আবারও মেয়েটিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি। ধর্ষণ করতে না পেরে মেয়েটিকে মারধর করেন। পরে ভুক্তভোগী মেয়ের মা জানতে পারেন। ভুক্তভোগীর মা বাসায় না থাকার সুযোগে কয়েকমাস যাবৎ ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, গত বুধবার আমার মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবা আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এর আগেও একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করেন বাবা। আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া খারাপ কাজের বিচার চাই।
মেয়ের মা জানান, আমার যেদিন হাসপাতালে বাচ্চা হয় সেদিন রাতে আমার স্বামী আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। গত বুধবার আমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে মেয়েকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তা করতে না পেরে মেয়েকে মারধর করেন। পরে আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ আজ শুক্রবার সকালে আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শহরের গাইটাল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন মঞ্জিল মিয়া। তিনি তার মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন বলে তার স্ত্রী (ভুক্তভোগীর মা) অভিযোগ দাখিল করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মঞ্জিল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এফআর/অননিউজ