মোল্লাহাটে ঈদের দিনে বিবাদমান দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-২, আহত অর্ধশত।
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে ঈদের দিনে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ জুন) উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামের এরশাদ চৌধুরীর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ ঘটনায় সিংগাতী গ্রামের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মোশারেফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী (৪০) ও এরশাদ চৌধুরীর ছেলে মুরছালিম চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উক্ত গ্রামের চৌধুরী বংশের কাবুল চৌধুরী গ্রুপ ও এনায়েত চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিনে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মোল্লাহাট, খুলনা, গোপালগঞ্জ ও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজুল চৌধুরীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে এবং অপর আহত মুরছালিম চৌধুরী রাত ১১ টায় মৃত্যুবরণ করেন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা ইমতিয়াজ চৌধুরী (২১), হোসেন চৌধুরী (২৩) এবং তরিকুল ইসলাম শরীফ (৩৮)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চৌধুরী গ্রুপের বিবাদ চলে আসছে, এর ই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬:১৫ ঘটিকায় জনৈক মুকুলের বাড়ির সামনে রানা নামক এক ছেলেকে মারধরের ঘটনা ঘটে, এর জেরে ঐ স্থানেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর মাগরিবের সময় এরশাদ চৌধুরীর বাড়ির সামনে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মধ্যে দুইজন মৃত্যুবরণ করে। এসময় সংঘর্ষে লিপ্তদের ইটের আঘাতে এ,এস,আই শিবু হালদার নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।