মোল্লাহাট থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার(১ফেব্রæয়ারি) একটি ছিনতাই নাটকের রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে ৫লক্ষ আশি হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
শুকবার মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম এর প্রেস ব্রিফিং থেকে জানাযায়, বাদী মাছ ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডল(৩৫),সাং-মাদারতলী, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামী সুজন বিশ্বাস(৩০), পিতা-মৃত সৈয়দ বিশ্বাস, সাং-বড় গাওলা, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট সহ অজ্ঞাতনামা ২জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন যে, উল্লেখিত আসামী তাহার পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার এবং সে তাহার ব্যবসায়িক ও আর্থিক কাজে বাহক হিসাবে সার্বক্ষনিক সহায়তা করে। গত ইং ২৮জানুয়ারি সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত পিকআপের ড্রাইভার সুজন যশোরে তাহার পাঠানো মাছ পিকআপ গাড়িতে সরবরাহ করে ফিরে আসার পথে ফকিরহাট পুবালী ব্যাংক থেকে এমএমসি কোম্পনির পাঠানো আট লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ড্রাইভার তাহার স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে ব্যাংক হইতে উত্তোলন করে।
পথিমধ্যে ফকিরহাট থানাধীন ফলতিতা বাজারে পৌছাইলে তাহার ম্যানেজার রমেন উক্ত টাকার মধ্য থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়া তাহার পাওনাদার আজিজুলকে দেওয়ার জন্য পিকআপ থেকে ফলতিতা বাজারে নেমে যায়। বাকি ছয় লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা নিয়া ড্রাইভার নাশুখালী বাজারে তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ড্রাইভার যথা সময়ে টাকা নিয়া পৌছাইতে বিলম্ব হইলে বাদী তাহাকে মোবাইল করে, কিন্তু সে মোবাইল ফোন রিসিভ করে না। কিছুক্ষন পর একটি অপরিচিত পথচারী মোবাইল নাম্বার থেকে তাহার মোবাইলে ফোন করে বলে যে, তাহার ড্রাইভার সুজন কেন্দুয়া জোড়া ব্রীজের কাছে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে আছে, তাহার নিকট থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। তখন সে দ্রুত জোড়া ব্রীজের কাছে আসে এবং দেখতে পায় যে, সুজন মহাসড়কের পাশে থামানো পিকআপের উপর বসে আছে। সে যাওয়া মাত্র ড্রাইভার বলে যে, অজ্ঞাতনামা দুইজন লোক মোটর সাইকেলে আসিয়া পিকআপ থামাইয়া জোর পূর্বক টাকা ছিনতাই করে নিয়া গেছে। ড্্রাইভারের কথায় সন্ধেহ হলে ব্যবসায়ী আশিষ থানায় অভিযোগ করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অনুসন্ধান করে উদঘাটন করে যে, ড্রাইভার সুজন বিশ্বাস এর কু-পরামর্শে ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামী মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ বাঁধন(১৮), পিতা-রুবেল ইসলাম বরকত, সাং-গাওলা, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট ঢাকা থেকে আসিয়া ড্রাইভার সুজনের নিকট থেকে উক্ত টাকা নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। সুজনের স্বীকারোক্তি ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোল্লহাট থানার আভিযানিক পুলিশ টিম ডিএমপি তেজগাও, মহাখালী ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ বাঁধনকে গ্রেফতার ও তাহার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বাদীর আত্মসাৎকৃত ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়, অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এফআর/অননিউজ