কমলগঞ্জের মুসলিম মণিপুরী পল্লীর কেওয়ালীঘাট গ্রামে ছেলের শাবলের আঘাতে বাবা নিহতের ঘটনায় ঘাতক ছেলে জহিরুল ইসলামকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় কমলগঞ্জের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা ডবলছড়া সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটক জহিরুল বুধবার বিকালে ডবলছড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাতে পারে এমন খবরে সীমান্ত এলাকায় অবস্থায় নেয় পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে আটক করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য গত ২৯ মে রাতে মা বাবার সাথে ঝগড়া হয় ছেলে জহিরের। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ জহির ঘরে থাকা শাবল দিয়ে বাবা আব্দুল গফুরের মাথা সহ শরীরে আঘাত করে। এ সময় তার মা হাসনত নেছা স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ স্বাস্থ কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল গফুরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জহিরুলের মাতা হাসতন নেছাও গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায় ঘাতক জহিরুল।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল গফুরের বড় মেয়ে মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে ঘাতক ভাই জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।