চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালে প্রথম লেগে জয়ে পেলেও ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলেনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৬ গোলের ব্যবধানে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেছে কাতালানরা। তবে এই হারের জন্য ম্যাচের রেফারিকে দায়ী করেছেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
এদিন রেফারির নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাভি হার্নান্দেজ। এমনকি পানির বোতলে লাথি মেরে নিজেও দেখেছেন লাল কার্ড। ম্যাচ শেষেও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটালেন বার্সেলোনা কোচ।
প্রথম লেগে পিএসজির মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফেরা বার্সেলোনা ঘরের মাঠেও দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রাফিনিয়ার গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান তখন দুই গোলের।
তবে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পিএসজির বারকোলাকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো।
এরপর খেলার চিত্র বদলে যায়। প্রথমার্ধে পিএসজির হয়ে গোল করেন বার্সেলোনা থেকেই আসা উসমান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ভিতিনিয়ার গোলে সমতা ফেরে দুই লেগ মিলিয়ে। পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুটি গোল গড়ে দেয় ব্যবধান।
ম্যাচ শেষে জাভি বলেন, আমরা ক্ষুব্ধ। ওই লাল কার্ডই খেলার ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ১১ বনাম ১১ লড়াইয়ের সময় আমরা খুবই গোছানো ছিলাম। লাল কার্ড সবকিছুই বদলে দিয়েছে পুরোপুরি। আমার মতে, আরাউহোকে বের করে দেওয়া একটু বেশিই কঠোর ছিল।
‘রেফারি খুবই বাজে ছিল। আমি তাকে বলেছি, সে ধ্বংসাত্মক ছিল। লড়াইটাই শেষ করে দিয়েছে সে। রেফারিদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না আমি, কিন্তু এটা না বলে উপায় নেই। আমার মাথায় ঢুকছে না (এই সিদ্ধান্ত)। ১০ জনের দল হয়ে পড়া কখনোই ভালো কিছু নয় এবং খেলাটাই বদলে যায় এটির পর। এই ম্যাচ নিয়ে যত কথাই বলি, লাল কার্ডই সবকিছুর মূল।’
দ্বিতীয়ার্ধে ইলকাই গিন্দোয়ানকে করা মার্কিনিয়োসের একটি চ্যালেঞ্জে রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ায় টাচলাইনের পাশে বোতলে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন কোচ জাভি। বার্সেলোনার ডাগআউটে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল উত্তেজনা। লাল কার্ড দেখানো হয় গোলকিপিং কোচ হোসে রামন দে লা ফুয়েন্তেকেও।
নিজের লাল কার্ড নিয়ে বার্সা কোচ বলেন, ওটা আমার ভুল ছিল, আমি দোষ করেছি।
সমতায় ফেরার সুযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ ছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু গিন্দোয়ানের শট পোস্টে লেগেছে। ওই লাল কার্ডের আগে ২-০ গোলে এগিয়েও যেতে পারতাম আমরা, রবের্ত লেভানদোভস্কির শট একটু ওপর দিয়ে চলে গেছে।
‘খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে, গোটা মৌসুমের কঠোর পরিশ্রম এভাবে শেষ হয়ে গেল রেফারির একটি বাজে সিদ্ধান্তে। গোটা ম্যাচই ১১ বনাম ১১ লড়াই দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ওই লাল কার্ড অপ্রয়োজনীয় ছিল।’
এফআর/অননিউজ