ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক স্যালিভান জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচি, রেভ্যুলেশনারি গার্ড এবং প্রতিরক্ষাদপ্তরের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এছাড়া ভবিষতে হামলা ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণাও দেন তিনি।
মঙ্গলবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ইসরাইলে তেহরানের হামলার প্রেক্ষাপটে আগামী দিনগুলোতে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের তেল রপ্তানির সক্ষমতা কমানোর চেষ্টা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
ইরান যাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, প্রক্সি গ্রুপগুলোকে অর্থায়ন করতে না পারে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন-সহায়তা দিতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগাচ্ছে, বলেন ইয়েলেন।
একইদিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানায়।
লন্ডনে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক সায়েদ মেহদি হোসেইনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পশ্চিমাবিশ্বকে ফাঁদে ফেলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইরানকে চাপে ফেলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দারস্থ হয়েছে ইসরাইল। ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেন দরবার করছেন ইসরাইলি কূটনীতিকরা।
ইতোমধ্যে ৩২ দেশকে চিঠি দিয়েছে ইসরাইল। এতে সবাইকে দুটি আহ্বান জানানো হয়েছে। একটি হচ্ছে-ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অন্যটি হচ্ছে ইরানের ইসলামিক রেভুল্যুশনারি গার্ড করপসকে সন্ত্রাসী সংগঠন তকমা দেওয়া।
ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড়ের মধ্যেই এমনটি জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত শনিবার ৩০০টি ড্রোন, ক্রস ক্ষেপণান্ত্র, ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ইরান। সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন নিহতের ঘটনার জবাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ