সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।
ফেনীর সোনাগাজীতে তুচ্ছ ঘটনায় চুরিকাঘাতে রবিউল হোসেন আবির প্রকাশ ছোটন (২৩) খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দোকান কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন।
ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সায়েদ সাফায়াতের আদালতে সে মঙ্গলবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জবানবন্দি প্রদান করেন। সে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন সবুজের ছেলে। তাকে সোমবার রাতে গ্রেতার করে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় ভাদাদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান কালা মিয়ার ছেলে রবিউল হোসেন আবির প্রকাশ ছোটন মতিগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ডের যাত্রী ছাউনিতে সাফওয়ান স্টোরে ভাতিজির জন্য একটি চিপস কিনতে যান। সেখানে বকেয়া টাকা নিয়ে দোকান মালিক নিলয়, কর্মচারী মামুন ও ছোটনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে নিলয়ের বড় ভাই বখাটে আরিফুল ইসলাম হৃদয় ধারালো ছুরি দিয়ে ছোটনের বুকের আঘাত করে মারাত্মক আহত করে।
স্থানীয়রা ছোটনকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আরমান হোসেন জাফর বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মমলা করেন। নিলয় ও তার ভাই হৃদয় ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা ভাদাদিয়া গ্রামের বড় বাড়ির মো. বাবুল মিয়া প্রকাশ টাইগার বাবুলের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরহাদ কালাম সুজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এফআর/অননিউজ