নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পিরোলী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আজাদ শেখ (৩২) হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার হুমকী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী নিহত আজাদের ছোট ভাই পেড়লী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদ শেখ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বড় ভাই আজাদ শেখকে গত বছরের ২০ জুলাই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি (সাজ্জাদ) বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ জুলাই ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরো পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামী করে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছি। এরপর আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামীরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে।
এসব অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বিকেলে পেড়লী বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাজ্জাদ শেখ বলেন, আমার ভাই আজাদ হত্যা মামলার আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর উপর অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। হুমকি-ধামকির ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিগত সময়ে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জেল শেখ, পেড়লী ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুল শেখ এবং যুবলীগ কর্মী আজান শেখকে হত্যা করেছে। এ কারণে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে আসামিরা এলাকা ছাড়লেও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে বাদীপক্ষকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমাদের নামে অপবাদ দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজাদ শেখ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামী শহিদুল মোল্যাসহ আলমগীর মোল্যা, রেজাউল মোল্যা, জুলাশ মোল্যা, আলতাপ শেখ, ইয়াম শেখসহ অন্য আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এর মধ্যে জামিনপ্রাপ্ত আসামীরা বাদী সাজ্জাদ শেখসহ তাদের লোকজনকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। প্রশাসনসহ গণমাধ্যমে আমাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে। আজাদ শেখ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচারের দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক মহাবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম শেখসহ দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
এফআর/অননিউজ