বর্তমান সংসার জীবনে প্রেমের বিয়েতেও বিচ্ছেদের হার অনেকাংশে বেড়েছে, যা সত্যিই উদ্বেগজনক ,প্রেম করে বিয়ে করলে কিংবা লাভ ম্যারেজ বেশিদিন টেকে না, এমন কথা অনেকেই বলে থাকেন। আবার এমনও দৃষ্ঠান্ত রয়েছে যারা প্রেমের বিয়ে টিকিয়ে রেখেছেন যুগের পর যুগ।
বছরকি বছর প্রেম করে বিয়ে করে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাটানোর পরও তাদের পথ আলাদা হয়ে যায় কেন? কী কী কারণে একটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে এবং শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ ঘটে?
জেনে নেওয়া যাক- কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এবং মজবুত করতে হলে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। শুধু কি আর্থিক সমস্যার কারণেই বিচ্ছেদ ঘটে? আসলে এ কারণগুলো কে তুলেধরা হলেও মূলত কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবেই বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
কেবল আই লাভ ইউ বললেই ভালবাসা প্রকাশ করা যায় না, ব্যবহারেও এটি ফুটে ওঠে। অনেক সময় শারীরিক স্পর্শও অনেক কিছুর প্রকাশ করে। তবে যদি এইটুকু শারীরিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে নিস্তেজতা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে ডিভোর্স হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৈনিক মিলনের মধ্যেও ঘাটতি থাকার কারনে ঘরে অশান্তি দেখা দেয় বেশি। এরপর মনোমালিন্য, একজনের সঙ্গে অন্যজন কথা না বলা ইত্যাদি কারণে বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে গেলেও এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
অনেক সময় দম্পতিরা কমিউনিকেশন গ্যাপের পাশাপাশি ইমোশনালি সাপোর্টের অভাব অনুভব করে। একটি সম্পর্ক শুধু ভালো আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে টিকে থাকতে পারে না। তার চেয়ে একে অন্যকে ইমোশনালি সাপোর্ট করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবেই একে অপরের প্রতি আকর্ষণ কমে গেলে একসঙ্গে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক দূরত্বও আসতে শুরু করে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24