যে কারনে মাদ্রাসার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন

নীলফামারী প্রতিনিধি।।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা কার্যক্রম স্থগিত এর আবেদন করেছে এলাকাবাসী, অভিযোগ মাদ্রাসায় কোন ছাত্র নেই নির্দিষ্ট কোনো জমি ও নেই ,জাল দলিল করে মাদ্রাসার নেয়া হয়েছে রেজিস্ট্রেশন, চারটি পদের বিপরিতে একই পরিবারে চাকুরী করেন তিনজন, ১ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে রয়েছে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । তার পরেও চলছে জাতীয় করনের জন্য চেষ্টা ।

নগর দারোয়ানি মোল্লাপাড়া একরামিয়া মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল হক শাহ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ এ উল্লেখ করা হয় দারোয়ানী মোল্লাপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ( ৫১৮৮৮) কার্যক্রম বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক ও সচিব বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কে চিঠি দিয়েছেন ।
অভিযোগে বলা হয় ১৯৬০ সাল থেকে ওয়াকফ জমিতে একরামিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম চলে আসছে সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কোন অস্তিত্ব ছিল না । ১৯৮৫ সালে একরামিয়া মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও ভুয়া দলিলের ফটোকপি দিয়ে মাদ্রাসা নিবন্ধন করিয়েছেন । ২০২০ সালে নিবন্ধনকৃত এবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ করা হবে বলে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখে । স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে যে ২২ শতাংশ জমি দেখানো হয়েছে সেটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নয়। জমির মালিক নগর দারোয়ানী মোল্লাপাড়াএকরামিয়া মাদ্রাসা । ২০২০ সালে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা সম্পর্কিত যে তথ্য দাখিল করেছিল সেখানে ( ১৭ খ) কলামে যে ২২ শতক জমি দেখানো হয়েছে তা ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি নয়। একরামিয়া মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ জমি দেখিয়েছেন সেটি একরামিয়া মাদ্রাসা ভোগ-দখল করিতেছে । ভুলবশত একরামিয়া নামের পরিবর্তে এবতেদায়ি হয়েছে। তাছাড়া ওই জমি নিচু এবং মাদ্রাসা স্থান হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে চড়াইখোলা মৌজায় জমির অবস্থান।

অপরদিকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কথিত জমিদাতা সোফিয়ার রহমান জানান, সরকার থাকি হামাক কার্যক্রম করার অনুমতি দিলে আমরা জমি লিখে দেবো । তার পরিবারের তিন সদস্যের চাকুরীর বিষয়টি এড়িয়ে যান । মাদরাসায় ছাত্র না থাকার বিষয়ে বলেন, হামার এইঠে প্রাইমারি, মাধ্যমিক স্কুল ছাত্র চলি গেছে।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা বলেন, এখন ছাত্র ছাত্রী দিয়ে কি করব আগে জাতীয়করণ হোক তারপর । তবে একই পরিবারের তিন জনের নিয়োগ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ।

নীলফামারী জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । তবে জাল দলিলে কোন প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করার সুযোগ নেই ।

আরো দেখুনঃ