গরমে তরমুজকে বলা যায় এক প্রকার আশীর্বাদ। কারণ এই ফলে পানি থাকে নব্বই ভাগের বেশি। তাই রমজানে শরীরে পানির যে ঘাটতি তৈরি হয় তার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে। শুধু পানির ঘাটতি পূরণ নয়, তরমুজের বীজকে বলা হয় সুপার ফুড। আর তাই রমজানেও তরমুজের চাহিদা বাড়ে। প্রতিদিনের ইফতারে তরমুজের জুস খেতে পছন্দ করেন রোজাদার মুসলিমরা। তাই এই সময় তরমুজের দামও থাকে চড়া। কিন্তু চড়া দাম দিয়েও অনেকে ভেজাল তরমুজ কিনে নেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় তরমুজে কৃত্রিম রং মিলিয়ে বিক্রি করেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও সারাদিন রোজা রেখে ভেজাল তরমুজ খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই তরমুজ কেনার আগে ভালোভাবে দেখে কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গরমে প্রচুর ঘাম হয়। শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমে যায়। যা পূরণ করতে পারে তরমুজ। কিন্তু ভেজাল তরমুজ খেলে উপকার পাওয়া যাবে না। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
কী করে চিনবেন আসল তরমুজ আর নকল তরমুজ –জেনে নিন
কৃত্রিম লাল রং মেশানো থাকে,
সাধারণ মানুষ লাল তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কারণ লাল তরমুজ খেতে মিষ্টি হয়। তাই তরমুজকে পাকা বা বেশি লাল দেখাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাল এরিথ্রোসিন রং মিশিয়ে দেন। যা দেওয়ার পর তরমুজের ভেতরের অংশ লাল টকটকে হয়। এটি বুঝতে একটি তুলো নিয়ে পরীক্ষা করে নিন। আসল তরমুজের লাল অংশে তুলো ধীরে ধীরে ঘষুন। কোনও রং উঠবে না। কিন্তু নকল তরমুজে তুলো ঘষলে তা থেকে লাল রং উঠে আসবে।
স্বাদ কম হবে,
ভেজাল তরমুজের রং যতই লাল হোক কোন স্বাদ হবে না। অন্যদিকে আসল তরমুজের স্বাদ থাকবে। এটি খাওয়ার পর মুখে তরমুজের আসল স্বাদ পাওয়া যাবে। তাই কেনার আগে একটু টুকরো খেয়ে দেখুন।
দ্রুত পচে যাবে,
তরমুজ কিনে এনে সঙ্গে সঙ্গে না খেয়ে রেখে দিন। দুই একদিন পর খাবেন। এতে যদি তরমুজ পঁচে যায় তবে বুঝে নিবেন এটি ভেজাল ছিল। ভেজাল রং মেশানো ছিল বলে তা দ্রুত পচে গেছে। অন্যদিকে আসল তরমুজ দ্রুত পঁচবে না। বরং এর স্বাদও ঠিক থাকবে।
পানিতে দিয়ে দেখুন,
বাজার থেকে তরমুজ কেনার পর বাড়িতে এনেই খাওয়া শুরু করবেন না। আগে পরখ করে দেখুন। তরমুজে রং মেশানো আছে কিনা তা বুঝতে একটি কড়াইয়ে কিছুটা পানি গরম করে নিন। এবার এতে এক টুকরো তরমুজ দিয়ে দিন। দ্রুত পানি লাল হয়ে গেলে বুঝবেন তরমুজে রং মেশানো ছিল। ভালো তরমুজে কোনো রং উঠবে না।
এফআর/অননিউজ