রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ৬ষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে আন্দোলন। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার কলেজ ও হাসপাতালে দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি ও বুধবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী সারাদেশের মতো রংপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর থেকেই ফুঁসে ওঠে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। শুরু হয় সদ্য পদায়নকৃত রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন।
সেই আন্দোলনের ৬ষ্ঠ দিনে কলেজের সামনে থেকে বের হয় বিক্ষোভ মিছিল। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি রংপুর মেডিকেল চত্বর ঘুরে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। কলেজের ক্লাস বর্জনসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মেডিক্যালের নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন ও ইর্ন্টাণ চিকিৎসকরাও।
সেই প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য দেন কলেজ উপাধ্যক্ষ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী নিয়াজ শরীফ, নাজমুল সাদাকত তানজিল, ফাতেমা আজাদসহ অনেকেই।
বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পৃষ্টপোষক সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজার রহমানের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরাতে হবে। উনাকে অধ্যক্ষ হিসেবে কেউ মেনে নেয়নি। তাই উনাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের দোসর পদোন্নতি পাওয়া অধ্যক্ষকে অপসারণ করা না হলে (আজ) মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দু’ ঘণ্টার জন্য রংপুর মেডিক্যালের আউটডোর ও বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরেও দাবী মেনে না নিলে বুধবার থেকে কলেজ ও হাসপাতালে কমপ্লিট সাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অধ্যাপক শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। সেই অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে। নিয়োগের পরের দিন থেকেই নতুন অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের একটি পক্ষ।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24