রাকাবের আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০১৮ বাতিলের দাবিতে স্বারকলিপি প্রদান

আবু বাককার সুজন, বাগমারা (রাজশাহী)।।

রাকাব ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল নির্যাতন, অনিয়ম ও দুর্নীতির বন্ধ করে কর্মচারীদের সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। পরে এ বিষয়ে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহনের দাবিতে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মলনে দাবি করা হয়, রাকাব এ প্রায় ১১০০ জন আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক জনবল নিয়োজিত থেকে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু বিগত সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে তাদের নিয়োগের বিধান রেখে “আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০১৮” নামে একটি নীতিমালা প্রকাশ করে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়ায় অফিসিয়াল কাজ-কর্মে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য এবং তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ন্যায্য পারিশ্রমীক না দিয়ে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয় যা চরমভারবে বৈষম্য বটে। এছাড়া ওই নীতিমালা উল্লেখ করা হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান ইচ্ছা করলে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সরাসরি সেবা প্রদানকারীর সাথেও চুক্তি করে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবে। অন্ত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বিগত সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এমন বৈষম্যমূলক নীতিমালা থাকার কারণে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা
থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাকাব একিভূত হয়ে বিভিন্নভাবে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের প্রতি অন্যায়-অবিচার করে আসছে। যেমন চুক্তির মেয়াদ শেষ
হলেই কর্মচারীদের উপর নেমে আসে চাকুরী ছাঁটাই এর মতো অমানবিক অত্যাচার। পুরাতন কর্মচারীদের ছাঁটাই করে নতুন জনবল নিয়োগের নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। অতিরিক্ত কর্মঘন্টা পরিশ্রম করলেও ওভার টাইম দেয়া হয় না। এমনকি অসুস্থতাজনিত কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে বেতন প্রদান করা হয় না। একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরি করেও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন যা মোটেও কাম্য নয়। তাই আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আরো কঠোর কর্মসূচির পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়।

আরো দেখুনঃ