৪০ বছর ধরে ঝুলন্তসেতু আর পার্ক দিয়েই পর্যটকদের টানছে পর্যটন জেলা রাঙামাটি। কালের বিবর্তন আর অযত্ন-অবহেলায় সেগুলোও এখন ঝুঁকিপূর্ণ বেহালদশা। পর্যটনশিল্পের বিকাশে নেই নতুন কোনো উদ্যোগও।
১৯৬০ সালে বাঁধ তৈরির পর কাপ্তাই হ্রদকেন্দ্রিক পর্যটন এলাকা গড়তে নেয়া হয় নানা পরিকল্পনা। সত্তর দশকের শেষের দিকে রাঙামাটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৩ সালে ঝুলন্তসেতু ও পাশের পর্যটন পার্ক তৈরির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে পর্যটন কর্পোরেশন। এরপর আর কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারি প্রতিষ্ঠানটির।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে বেড়াতে আসা তৌহিদুল আলম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এত বছরেও নতুন কোন স্থাপনা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যা আছে, কমেছে তার মানও।
পর্যটকরা জানান, ছোটবেলায় যেই ব্রিজ দেখেছি সেই ব্রিজ এখনও আছে। চলাচল করতে ভয় লাগছে। একই কথা বলছেন অন্য পর্যটকরাও। পাটাতনের কাঠ ভেঙে ও নাটবল্টু খুলে সেতুটি আর গর্তে-খানাখন্দে ভরা চলাচলের রাস্তা নিয়ে পার্কটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। একটু অসচেতন মনে হাঁটলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
পর্যটকরা জানান, ব্রিজটি অনেক ভয়ঙ্কর। নাট-পল্টু যেগুলো আছে সেগুলো নড়বড়ে। কাঠও অনেক পুরাতন।
ঝুলন্তসেতু ও পার্কের আরও দৃষ্টিনন্দন সংস্কারসহ পর্যটনের আধুনিকায়নের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
রাঙামাটি পর্যটন হোলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, “ঝুলন্ত সেতুর আধুনিকায়ন করা এই অঞ্চলের মানুষের দাবি। বিভিন্ন পর্যায়ে হেডঅফিস থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
নতুন নতুন পর্যটন স্থাপনা গড়ার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতের প্রত্যাশাও সবার।
ফরহাদ/অননিউজ