রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জিয়া

আবু বাককার সুজন বাগমারা (রাজশাহী)

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়া। তিনি ২০০৮ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতি প্রার্থী এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন রাজশাহী-৪ আসনটি বাগমারা-মোহনপুর এ দু’টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়া বর্তমানে বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আউচপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান।

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ডি.এম জিয়া বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং দুইটি পৌর এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, কর্মিসভা ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে আগাম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক। এর আগে আ.লীগ সরকারের শাসন আমলে কারাগারে বন্দি থাকা দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল সড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ মিছিল, পোস্টার সাঁটানো ও প্রচারপত্র
বিতরনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও কাজ করেছেন ডি.এম জিয়া। এছাড়া দলের সকল কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করেছেন তিনি। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আ.লীগের কঠোর শাসনামলেও এ উপজেলায় বিএনপি ছিলো সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী।

শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, গনিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার, বাগমারা উপরেজলা বিএনপি সাবেক আহŸায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক সামসুজ্জোহা বাদশা, হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন, ঝিকরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি
মাষ্টার সৈয়দ আলী বলেন, রাজশাহী-৪ আসন থেকে এবার ডি.এম জিয়াকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান দলের তৃণমূল তাকর্মিরা। কারণ ডি.এম জিয়া এলাকার মানুষের কাছে একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। দলের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় আ.লীগ সরকারের পতনের কিছু দিন আগে তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তারা আরো বলেন, ডি.এম জিয়া একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা। বিগত ১৬ বছরে বাগমারায় বিএনপির যে সব নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের জামিনে মুক্ত করাসহ মামলা মোকাবেলার সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনিই বহণ করেছেন। এ জন্য আমাদের কোনো টাকা পয়সা খরচ করতে হয়নি। তাছাড়া যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি অসহায়দের পাশে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আস্তাভাজন নেতা হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।

কাজেই তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় ২০০৮ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতি প্রার্থী এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আমি বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাধ্যমতো জনগণের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করেছি। কাজেই এবার আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

আরো দেখুনঃ