রাজশাহী-৪ আসন ডিএম জিয়া প্রার্থী হওয়ায় উজ্জীবিত বিএনপি

আবু বাককার সুজন, বাগমারা (রাজশাহী)

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ কারণে দলের ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরাও এখন উজ্জীবিত। সেই সাথে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ভোট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে সমর্থন জানিয়ে আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আবু নঈম সামসুর রহমান মিন্টু বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ডিএম জিয়া ভাইয়ের জন্য আমরা অপেক্ষায় ছিলাম।

মনোনয়নের মধ্য দিয়ে আমাদের সেই আশা পুরন হয়েছে। বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়াকে ধানের শীষের প্রার্থী করায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলের হাই কমান্ডকে এই আসনটি এবার উপহার দিতে চাই। নরদাশ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিএম জিয়া শুধু দলের একজন নেতাই নন। এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।

উপজেলা তাঁতী দলের আহবায়ক মামুনুর রশিদ মামুন ও ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ডিএম জিয়া একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা। বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বাগমারায় বিএনপির যে সব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের জামিনে মুক্ত করাসহ মামলা মোকাবেলার সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনিই বহণ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক শামসুজজোহা বাদশা ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার সৈয়দ আলী বলেন, ডিএম জিয়াকে প্রার্থী ঘোষনার পর থেকেই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে পুরোদমে নির্বাচনী আমেজ চলছে। প্রাণ ফিরে পেয়েছেন উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় ২০০৮ সালে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ডিএম জিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এরপর তার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপির সংগঠন আরো গতিশীল ও সক্রিয় হয়ে উঠে। এ কারণে ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে ‘অনুমেয়’ হিসাবে দেখছেন স্থানীয় নেতারা। মনোনয়ন ঘোষনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাধ্যে উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আরো দেখুনঃ