রাজশাহী সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। এতে করে ওই কেন্দ্রের পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার দুপুর বারোটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এই ঘটনায় ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে কেন্দ্র থেকে চলে গেছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন টুনু অভিযোগ করেন, এই কেন্দ্রটি আমার বাসার পাশে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবু ভোট বানচাল করতে দেশী অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কেন্দ্রের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে আশরাফুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী প্রসাদ রায় লিটন বলেন, জুলফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর এজেন্টের মধ্যে হাতাহাতির ঘাটনা ঘটে। এর জের ধরে এই কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিবেকা নন্দন বিশ্বাস বলেন, ভোট কেন্দ্রের সামনে রাস্তায় দুই কাউন্সিল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে ভোট গ্রহণে কোন প্রভাব পড়েনি। ভোট গ্রহণ চলমান আছে। তবে সংঘর্ষের সময় যেসব ভোটার বাইরে ছিল তারা পালিয়ে যায়। পরে তারা এসে ভোটের লাইনে দাঁড়ায়।
এদিকে, বাকি কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৮ থেকে ২৯ ভাগ ভোট পড়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম।
এফআর/অননিউজ