পূর্বশত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আরমান মিয়া (৪০) নামে এক ফল ব্যবসায়িকে কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি ও বাম হাতের তিন আঙুল কেটে সারা শরীরে এলোপাতাড়ি জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। জখমের পর মৃত ভেবে ওই ব্যবসায়িকে ইটভাটায় ফেলে রেখে যায় তারা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আরমান মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যবসায়ির স্ত্রী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে শনিবার (২৯ জুন) রূপগঞ্জ থানায় মামলা রজু করেন।
বাদী রাশিদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় তার ভাসুরের ছেলে মাহফুজ বেড়াতে আসেন।সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী নাজমুল, অভি, শাকিল, শাহিনসহ সংঘবদ্ধ চক্র। খবর পেয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আতলাপুর বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফলের দোকানে চলে যান তিনি।
রাতে বাড়ি ফেড়ার পথে আসামীরা রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, ছুড়ি লোহার পাইপ সহ দেশি অস্ত্র দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে ডান হাতের কব্জি ও বাম হাতের তিন আঙুল কেটে ফেলে এবং মাথায়, কানে, হাতে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
একপর্যায়ে আরমান মিয়ার শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তিনি অঙ্গান হয়ে পড়লে আসামীরা তাকে মৃত ভেবে পাশের এবিএম ইট ভাটায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তিনি।
এছাড়াও রূপগঞ্জে থানা পুলিশের উদাসীনতায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে নানা অপরাধ, ঘটছে খুন- জখম-মারামারি- দিবালোকে মাদক বিক্রি-গুলাগুলি- ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা । কোন ঘটনারই সঠিক ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন বাড়ছে এসব অপরাধ। গত কয়েক মাসে ২০/২৫টি ঘটনা ঘটলেও বিচার হয়নি একটিরও। ফলে সন্ত্রাসীরা দিনে দিনে আরো ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ঘটনায় মামলা রজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।